সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে ২০১৬ সালে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে জিপিএ অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম চালু করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। আট বছর পর ফের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরতে উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে বলে নিশ্চিত করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্রমতে, গত ডিসেম্বরে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনায় বসে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট সব প্রস্ততি সম্পন্ন করে এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। অনুমোদন মিললেই ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি পুনরায় চালু করবে কারিগরি বোর্ড।
তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রকিব উল্লাহ। তিনি বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই এটা নিয়ে কাজ করা যাবে। বোর্ডের চিন্তা হলো আগামী সেমিস্টার থেকেই শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে আমরা নতুন করে ঢেলে সাজাতে চাই। আগামীর বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি থাকলেও সে অনুযায়ী আমাদের জনশক্তি নেই। গত দেড় দশকে বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবে কারিগরি শিক্ষা ধ্বংসের মুখে। নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা গ্রহণের এ উদ্যোগ।
কারিগরি বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাদ দেওয়ায় মানসম্মত শিক্ষার্থী হারাচ্ছে ইনস্টিটিউটগুলো। ফলে কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জিপিএ পদ্ধতির কারণে প্রকৃত মেধাবীরা ভর্তির সুযোগ পাননি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। এর মধ্যে পুরনো ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ২০টি, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি। নতুন রাজস্বভুক্ত ইনস্টিটিউট ৫টি, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ৫টি, প্রকল্পভুক্ত ইনস্টিটিউট ১৮টি ও মহিলা পলিটেকনিক ৪টি। এছাড়াও বাংলাদেশে ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে।
