উপাচার্যের অপসারণের দাবির আন্দোলন সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ ‘ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত’ বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
একইসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
অপরদিকে সোমবার দুপুর ১টায় নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, “আমাদের এই যৌক্তিক আন্দোলন সম্পর্কে, দায়িত্বশীল মহলে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্য, উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে করে আমাদের আমাদের অহিংস আন্দোলনকে ঘিরে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হতে পারে।”
আন্দোলন চলার মধ্যে গত শনিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় শাবির শিক্ষক প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ‘এই আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া আরও কেউ জড়িত বা ইন্ধন আছে কি-না’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এর পর গতকাল রোববার বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও এই আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা “এ আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষের কোনো হস্তক্ষপের বা ইন্ধনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অযোক্তিক এবং অমূলক” বলে দাবি করেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সন্ধ্যায় খাবার নিয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে প্রক্টর আলমগীর কবিরসহ কয়েকজন শিক্ষককে ফটক থেকেই ফিরে যেতে হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যার পর থেকে মানবদেয়াল তৈরি করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থা নেন শিক্ষার্থীরা। বাসভবনে কাউকে প্রবেশ করতে বা বের হতে দিচ্ছেন না তারা।