সশরীরে নয়, অনলাইনেই অনার্স-মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। এই অনুমোদন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। প্রশ্ন উঠেছে, যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকেন তারা কীভাবে দীর্ঘসময় অনলাইনে পরীক্ষা দেবেন?
জানাগেছে, মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকালে উপাচার্য ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষদের ডিনদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। ডিনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অনলাইন পরীক্ষার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন অধিকাংশ শিক্ষক। সেই পরামর্শের ভিত্তিতেই অনলাইনে পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ব্যাপারে স্ব-স্ব বিভাগে চূড়ান্ত নীতিমালা পাঠানো হয়েছে। যেসব বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে, তারা চাইলে যেকোনও সময় পরীক্ষা শুরু করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আজাদ লাভলু ও অনুষদের ডিনরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা সশরীরে ও অনলাইনে গ্রহণের নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেয়। সে মোতাবেক পরীক্ষার বিষয়ে ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পরীক্ষার বিষয়টি স্ব-স্ব বিভাগের ওপর ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট বিভাগ চাইলে সশরীরে কিংবা অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেকনিক্যাল কমিটি করে দেওয়া হয়। টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এবং কমিটির পরামর্শে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই সভায় অধিকাংশ বিভাগ সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সুপারিশ করেছিল।
পরে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপ-উপাচার্য ড. মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চূড়ান্ত নীতিমালা দেয়। তা অনুমোদন দিয়ে মঙ্গলবার প্রত্যেক বিভাগে পাঠায় প্রশাসন।