এবার উচ্চ পুষ্টিমান-সমৃদ্ধ মাছের পাউডার প্রদর্শন করলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। খাদ্য নিরাপত্তার সব ধরনের মানদণ্ড বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের ল্যাবে এই পাউডার তৈরিতে প্রধান গবেষক হিসবে দায়িত্ব পালন করেন ড. আবদুল্লাহ-আল মামুন। গবেষক দলের সদস্য ছিলেন ড. শহীদ সরোয়ার, শুভ ভৌমিক। প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী ছিলেন আবদুল আজিজ ও সাইদুজ্জামান সাব্বির।
তাদের উদ্ভাবিত এই পাউডার ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামগুলোতে। দেশের তিন অঞ্চলে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ১২০টি পরিবারের প্রায় ৬ শতাধিক সদস্যদের মধ্যে সাপ্তাহিক জনপ্রতি ৪০ গ্রাম হারে গত ১৬ সপ্তাহ ধরে এই পাউডার বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এই পাউডার প্রদর্শন করা হয় লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজান্ডারে দিনব্যাপী মাঠ দিবস ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এসময় সুবিধাভোগী ৪০টি পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. হানিফের সভাপতিত্বে প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল- আলম।
এছাড়ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক (পুষ্টি) ড. মো. মনিরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো.ফারুক উদ্দীন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ড. মফিজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দীন, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দীন, নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাছুমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জানানো হয়, গবেষণার প্রয়োজনে ২৪০ পরিবারের কিশোরী মেয়েদের রক্তের নমুনায় আয়রন, জিংক, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। ১৮ সপ্তাহ পর আগামী মার্চে আবার নমুনা যাচাই করা হবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।