সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে দুই বহিরাগত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগে একজন এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে গাঁজা সেবনের অভিযোগে অন্যজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
এছাড়াও নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগে আটক ব্যক্তিকে মুচলেকা নিয়ে মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। জানাগেছে, মাদক সেবনে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন একটি এলাকার বাসিন্দা। আর মারধরে আহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম রাকিব মিয়া। তাকে মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে এ বিষয়ে প্রক্টর মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের কারণে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে থানায় দেওয়া হয়। তবে তিনি নিরাপত্তাকর্মীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। পুলিশকে বলেছি, যাতে তার মা-বাবাকে ডেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। আর গাঁজা সেবনকারী ব্যক্তির জন্য পুলিশে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে বহিরাগত ছেলেটি মাঠের গ্যালারির নিচে বসে গাঁজা সেবন করছিলেন। তখন আমরা কয়েকজন গিয়ে জিজ্ঞাসা করি, তিনি কেন সেখানে বসে গাঁজা খাচ্ছেন। বহিরাগত ওই ছেলে বলেন, বিজয়ের দিনে তার গাঁজা সেবন করা দরকার। এ সময় তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী, কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন এক বহিরাগত ব্যক্তি। তাকে সেখানে আটক করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মীরা। তখন ওই ব্যক্তি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে রাকিব নামের নিরাপত্তাকর্মীকে মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে মুখে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি। এতে রাকিব আহত হন।
সূত্রগুলো আরও জানায়, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গাঁজা সেবন করছিলেন এক ব্যক্তি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে আটক করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে কিছু গাঁজাও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।