বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ফল প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন রাজধানীর নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী আদনান আহমেদ তামিম। এছাড়া দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা হাবিবুল্লাহ খানও নটর ডেম থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। আর তৃতীয় হয়েছেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র সুদীপ্ত পোদ্দার।
জানা গেছে, আদনান আহমেদ তামিম চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হন। এরপর নটর ডেম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এইচএসসি পরীক্ষায়ও তিনি জিপিএ–৫ পেয়েছেন।
ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মেধাতালিকা ও পছন্দক্রম অনুসারে প্রার্থীদের বিভাগ বণ্টনও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
‘ক’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ভর্তির জন্য ২৭ ও ২৮ মার্চ দলিলাদি মূল্যায়ন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। বুয়েটের পশ্চিম পলাশী ক্যাম্পাসের ইসিই ভবনের লেভেল-৮-এ ভর্তি অফিসে শিক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে উপস্থিত হতে হবে।
অন্যদিকে ‘খ’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে পশ্চিম পলাশী ক্যাম্পাসের ইসিই ভবনের লেভেল-৮-এর ভর্তি অফিসে হাজির হতে হবে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভর্তি ফি পরিশোধ এবং মূল সনদ জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে উপস্থিত না হলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপে প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। এতে অংশ নেন ১৫ হাজার ৪৪৩ জন শিক্ষার্থী। প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ৬ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৩৯ জন গত ৯ মার্চ পরীক্ষার মূল পর্বে অংশ নেন। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৯ জন।
বুয়েটের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ অন্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ মিলিয়ে তিনটি (কোনো বিভাগে একটি আসনের বেশি নয়) এবং স্থাপত্য বিভাগের জন্য একটি সংরক্ষিত আসনসহ মোট ১ হাজার ৩০৯টি আসন রয়েছে।