চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশে প্রথমবার মত সরকার স্বীকৃত ডায়াবেটিস চিকিৎসা গাইডলাইন চালু হয়েছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল যৌথভাবে এই ‘ডায়াবেটিস কেয়ার বাডাস গাইডলাইন ২০১৯’ প্রণয়ন করেছে।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং চিকিৎসকদের সুবিধার্থে অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক ডায়াবেটিস চিকিৎসা সহায়িকা ‘ডায়াবেটিস জার্নি’ চালু করা হয়েছে। নতুন গাইডলাইন প্রকাশ এবং অ্যাপসটি তৈরি করেছে নভো নরডিস্ক এবং বাডাস।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গাইডলাইন প্রকাশ এবং অ্যাপসটির উদ্ধোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাডাস’র সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান, সাধারন সম্পাদক মো. সায়েফ উদ্দীন। নভো নরডিস্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনান্দ শেঠী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদৃত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন।
এই সময় একে আজাদ খান বলেন, এই গাইডলাইনটি ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা রূপরেখার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। অ্যাপসটি রোগের ধরণ এবং রোগীদের প্রয়োজন বুঝে সঠিক চিকিৎসা পরামর্শ দিতে চিকিৎসকদের জন্য সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে মো. সায়েফ উদ্দীন বলেন, ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগাীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এখনই সময় সচেতন হওয়ার। বিশ্বের অনেক দেশে এই রোগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সচেতন না হলে বড় সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারকে সাথে নিয়ে ডায়াবেটিস সচেতনতায় অনেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। দেশে সাড়ে চার লাখ মসজিদ ও এক লাখ মন্দির রয়েছে। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আমরা সচেতনতামূলক কাজ শুরু করছি। সেখানে প্রাথর্নার পর ডায়াবেটিস সচেতনতা নিয়ে কথা বলা হবে। এই আওতায় আসবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি পাঠ্যবইয়েও যাতে এই বিষয়টা তুলে আনা হয় আমরা চেষ্ঠা করছি।
আনান্দ শেঠী বলেন, ডায়াবেটিস জার্নি অ্যাপসটি জাতীয় ডায়াবেটিস রোগী নিরন্ধনে ডিজিটালাইজেশনে বড় উদাহরণ এবং বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রচেষ্ঠারো সহায়ক।