আজকের শিশুরাই গড়বে ‘আগামীর বাংলাদেশ’। স্মার্ট সেই বাংলাদেশের জন্য শিশুরাই আঁকছে জীবন সাজানোর আয়োজন। এদের কেউ তৈরি করতে চায় এমন একটি ডিভাইস যা কি না- দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেবে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পুলিশ স্টেশনে। সেই‘হেল্পিং ড্রাইভার’ পরিকল্পনা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বড় মহেশখালী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিহাত তাসপিয়া রুমাইসা।
দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে শামসুল ইসলাম তানিম; যার পরিকল্পনা একটি রিচার্জেবল ইনোভেটিভ শ্রুতিলিখন কলম তৈরি করার। এই কলম দূর করবে তার মতো লেখালেখিতে অক্ষম শিশুদের সমস্যা। সাভারের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে সে।
আর টিকাটুলি কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুশরাত জাহান নবিনা তৈরি করতে চায় ‘ডক্টর রোবট’- যেটি দরিদ্র পথশিশু অসহায় লোকজনকে বিনা মূল্যে যেকোনো সময় যে কোন স্থানে সুচিকিৎসা দেবে।
পথ চলার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলো মোবাইল অপারেটর রবি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জমা পড়ে এক হাজার ৩০০’র বেশি পরিকল্পনা। গত সপ্তাহে রাজধানীর গুলশানে রবির প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ১০ পরিকল্পনা। বাকি সাত পুরস্কার প্রাপ্ত পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিরা মোন্নাফের নিরাপদ সড়ক রোবট। গাড়ির ফিটনেস, রাস্তার জ্যাম ও চালককে পরামর্শ দেবে তার রোবটটি।
নিঃসঙ্গ বয়োজ্যেষ্ঠদের কাজের সহযোগিতার জন্য হেল্পিং রোবট বানাতে চায় ঢাকার মোহাম্মাদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের আট বছরের ওয়াফিজা যারা সরকার। ময়লা-আবর্জনা মুক্ত নগরীর জন্য বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাদিয়া শানজান ইশমা বানাতে চান স্টার্ট গার্বেইজ।
পাবনার ডি এ জয়েন উদ্দিন স্কুলের শিক্ষার্থী এস এম নুহিন আল সানিম এর পরিকল্পনা মহাকাশ নিয়ে। সেখানে বাংলাদেশকে পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় সে।