সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে দেশের ১৯১টি অনলাইন পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল এবং ওইসব পোর্টালের লিংক বন্ধ করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি জানিয়েছেন, কোনো অনলাইন সংবাদমাধ্যমে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জাবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে মূলধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ১৬২টি, দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল ১৬৯টি এবং টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টাল ১৫টিসহ ৩৪৬টি অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বন্ধে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন কার্যক্রম পরিচালনাকারী ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ১৯১টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিলকরণসহ লিংক বন্ধ করার জন্য এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ১৪১টি। এরমধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫০৯টি, সাপ্তাহিক ৩৪৫টি এবং মাসিক পত্রিকা ২৮৭টি।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম হিসাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে মানহীন অনুষ্ঠান প্রচারের সুযোগ নেই। রাষ্ট্রীয় নীতিমালা অনুসরণ করে বিটিভি দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করে সংগীতানুষ্ঠান, তথ্যচিত্র, নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ৪টি টিভি চ্যানেল এবং ৩৪টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল তাদের কার্যক্রম চালিয়া যাচ্ছে। সরকারের জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালায় অপসংস্কৃতি রোধের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।