আষ্টম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে নতুন প্রচারণায় নেমেছে দারাজ। প্রণোদনার পাশাপাশি সেবার মান উন্নত করতে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসটি। এরই অংশ হিসেবে যে সকল সেলারের অর্ডার ক্যান্সেলেশন ও রিটার্নের হার গড়ে ৩% হলেই তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পেইনে ৬৫০ জন সেলারের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে অনলাইন সেলারদের সংগঠন ই-কমার্স সেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সোমবার দারাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে। রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত দারাজের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুই পর্বের বৈঠকে দারাজের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কমার্সিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান। দারাজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই দলে ছিলেন ৭জন। বৈঠকের প্রথম পর্বে সংগঠনটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে তাদের সমস্যা ও অভিযোগ সম্পর্কে শুনেন তিনি।
এরপর সভায় আলোচ্য বিষয়গুলোর আলোকে ১৫টি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয় ই-কমার্স সেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। সেখানে জানানো হয়, সেলারদের জন্য ড্যাশবোর্ড মেইনটেইন্যান্সে ক্যানসেলেসন ও রিটার্নরেট গড়ে ১০ শতাংশ এবং শিপ অন টাইমে পেন্ডিং সময় ৪৮ ঘণ্টা এবং রেডি টু শিপ যেন ৭২ ঘণ্টা করা হয়।
এছাড়াও সবচেয়ে বেশি চাহিদার পণ্যে এসকেইউ লক, প্যাকেজিং রিপ্লেসমেন্ট, ডুপলিকেট অর্ডার প্রসেসিং টাইম, পেমেন্ট সিস্টেম, ডেলিভারি অপারেশনে হারিয়ে যাওয়া, খোয়া যাওয়া এবং ফেক বিষয়ে সেলাররা নিজেদের সুরক্ষা দাবি করেন।
বৈঠকসূত্রে জানাগেছে, বৈঠকে সেলারদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ১০জনকে যেতে বলা হলেও ৪০ জনের মতো সেলার জমায়েত হলে বিষয়টিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে দারাজ’র নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। তবে একটু বিলম্বে হলেও সেলারদের সঙ্গে এই বৈঠকটি বেশ ফলপ্রসু হয়েছে। ফলে সম্যাগুলো সমাধানে সেলারদের আশ্বস্ত করে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেলারদের দাবি দাওয়া পর্যালোচনা করে মেনে নেয়ার ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দারাজ কর্তৃপক্ষ।
ই-কমার্স সেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতিমাহমুদুল হক মাসুদ, সহ সভাপতি তানিম, সাঃ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হুসাইন, প্রচার সম্পাদক সাইদুর রহমান, সহঃ সাধারণ সম্পাদক রাফি, সম্পাদক তাহমিদ, সোয়েব ও ইঞ্জিঃ মাসুদ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দারাজের অষ্টম বছরপূর্তির এই ক্যাম্পেইনে সহযোগী স্পন্সর হিসেবে আছে ডেটল, বাটা, ওরাইমো গ্লোবাল, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, সিঙ্গার, শাওমি এবং লোটো। ক্যাম্পেইনটির ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে ফ্যাব্রিলাইফ, স্কেয়িন, ম্যাসকিউলিন, হাইয়ার, মারিকো, রিবানা, মোশন ভিউ, লিভিংটেক্স, ফার্নিকম, মটোরোলা, ইনফিনিক্স, এইচআইটি, লাক্স এবং পিউরইট। এছাড়াও, এই উদযাপনে দারাজের ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে জায়নাক্স হেলথ, লেভিশ বুটিক স্যালন, প্রিভ’ বাই নাহিলা হেদায়েত, গালা মেইকওভার এন্ড স্যালন, স্প্লেন্ডার বাই আনিকা বুশরা এবং দ্য পাউডার রুম বাই এশা রুশদি।
এদিকে দারাজ বাংলাদেশের সেলার সংখ্যা ইতোধ্যেই অর্ধ লক্ষের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।