অতিমারি করোনায় চলাচলে ‘বিশেষ পাশ’এর ব্যবস্থা এবং ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ‘ব্যাংক ঋণ’ এবং ‘ই-বাণিজ্য করবো নিজের ব্যবসা গড়বো’ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে বর্তমান ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। নিজেদের অভিজ্ঞতাকে আরো শানিত করে তারুণ্যদ্বীপ্ত শক্তিতে আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিতব্য ইক্যাবের ২০২২-২৪ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে ‘অগ্রগামী’ এই কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পশাপাশি ই-ক্যাবের জন্য স্থায়ী অফিস, সিসি ও টিম লোন এবং ব্যবসায় উন্নয়নে সহায়তার হাত প্রসারিত করবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
রোববার (২২ মে) রাতে খিলগাঁও-রামপুরা ই-ক্যাব আড্ডায় এমন প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা। স্থানীয় চায়না পার্ক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই আড্ডায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যই তাদের মত তুলে ধরেন।
‘ছোট বা বড় নয়; প্রতিষ্ঠিত বা ক্ষুদ্র নয় সকল সদস্যই সমান ভাবে ই-ক্যাবের প্রাণ’ উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল জানান, স্থায়ী অফিসের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্ররিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। তবে স্থান চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত সদস্যদের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আগামী ৩ মাসের মধ্যে বড়পরিসরের একটি স্মার্ট অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনার সময়ে ভাড়া খরচ কম বিবেচনায় মাত্র ২০ হাজার টাকায় এই অফিসটি কন্টিনিউ করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে নতুন অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেটের সংস্থান করা হয়েছে।
এসময় ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার তার শ্বাশুরিকে নিয়ে হাসপাতালে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় ফোনে অংশগ্রহণ করে সকলের কাছে দোআ চান এবং সদস্যদের প্রত্যাশা পূরণে আগামীতেও তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
অপরদিকে অগ্রগামী দলের সদস্য ফুডপান্ডা সহ-প্রতিষ্ঠাতা আম্বারিন রেজা বলেন, আমরা যারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছি অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাদের অন্যান্য সদ্যদেরও আমারা আমাদের সঙ্গী করতে কাজ করবো। তাদের স্বপ্ন পূরণে তাদের পাশে থাকতেই ই-ক্যব যখন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এই দলের সদস্য না হয়ে পারিনি। আশাকরি আমাদের অভিজ্ঞতা আর প্রাণশক্তিতে ই-ক্যাব শিগগিরই নতুন আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করতে পারবে।
অন্যদিকে ই-ক্যাব পরিচালক আসিফ আহনাফ বলেন, আমরা ৯ জন প্রার্থীরা কখনোই নিজেদের অগ্রগামী দাবি করি না; আমাদের স্পষ্ট বার্তা যারা আজ ই-ক্যাবকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন তারা সহ আমরা যারাই ই-ক্যাবে আছি, সকলেই অগ্রগামী।
এবারের ভোটে অগ্রগামী সদস্যরা হলেন – শমী কায়সার (ধানসিড়ি), মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল (কম্পিউটার জগৎ), মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন (ডায়াবেটিস স্টোর), নাসিমা আক্তার নিশা (রিভারি), আসিফ আহনাফ (ব্রেকবাইট), মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান (ডিজিটাল হাব), মোঃ রুহুল কুদ্দুস ছোটন (ফোকাস ফ্রেম), শাহরিয়ার হাসান (পেপার ফ্লাই) এবং সৈয়দা আম্বারীন রেজা (ফুডপান্ডা)।
প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাতাকালীন ৫জন সদস্যসহ রয়েছেন প্রতিষ্ঠিত ৪ এনার্জেটিক সদস্য। এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছেন।