ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে দ্বাদশ সংদসীয় নির্বাচন অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষ অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার নির্বাচনে ভোট গ্রহণে প্রযুক্তি ব্যবহারে তোরজোড় থাকলেও ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নিতে পারিনি কমিশন। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এখন দেখা দিয়েছে পূর্ণসক্ষমতার ঘাটতিও।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরকালে সিইসি বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সামর্থ্য আমাদের নেই। আমাদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মাত্র ১০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সামর্থ্য আছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, ‘ভোটগ্রহণ কীভাবে হবে, ইভিএমে কীভাবে হবে, ব্যালটে কীভাবে হবে এবং কতটা ইবিএমে আর কতটা ব্যালটে হবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। এ বিষয়টি পর্যালোচনাধীন।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক ইচ্ছা ব্যক্ত করতে পারেন, সদিচ্ছা ব্যক্ত করতে পারেন। তবে ইভিএমে ভোট নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নিতে পারিনি। ইতোমধ্যে অনেক সভা করেছি। আগামীতেও ২-৪টা সভা হবে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইভিএমে ভোটগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটি নিয়ে পত্রিকায় আসছে ও আমাদের বক্তব্যগুলো আপনাদের জানানো হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব আমাদের। হয়তো আপনারা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য দিয়েছেন ও বিভিন্নজন থেকে বক্তব্য আসতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নাকি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেছেন, বিষয়টি এখনও স্পষ্ট না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলা, বিএনপির প্রধান বলা, জাসদের আব্দুর রব বলা এগুলো ভিন্ন জিনিস।
‘আমরা যতদূর সম্ভব ভোট স্বাধীনভাবে পরিচালনা করব। এটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত। পদ্ধতিও আমাদের এখতিয়ারভুক্ত। অনেকেই অনেক মতামত দিতে পারেন। রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিতে পারে। আল্টিমেটলি আমরা ভোটগ্রহণের পদ্ধতির বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব’, যোগ করেন সিইসি।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে চার নির্বাচন কমিশনার, ইটিআই মহাপরিচালকসহ প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ মে থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চার ধাপে এ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় কার্যক্রম চলবে ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত। আর এ কাজে ব্যবহৃত হবে ট্যাব।