প্রযুক্তি খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে আয় বাংলাদেশ ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করবে। একই সঙ্গে এখন যেমন বিদেশী টেক-প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আসছে তেমনি করে দেশের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববাজারে লাল-সবুজের পতাকা ওড়াবে।
বিজয়ের মাস শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ৩০ নভেম্বর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এমন অভিপ্রায়ের কথাই তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
‘প্রযুক্তি রপ্তানীকারক দেশ বাংলাদেশ’ বাংলাদেশ শীর্ষক ওই পোস্টে ২০২৫ সালের মধ্যে আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র জয়।
তিনি লিখেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন বাস্তব। প্রযুক্তি আমদানী কারক দেশে থেকে এখন প্রযুক্তি রপ্তানীকারক দেশ বাংলাদেশ। আইসিটি শিল্প রপ্তানী আয় এখন বিলিয়ন। ২০২৫ সালের মধ্যে যা পৌঁছাবে ৫ বিলিয়ন ডলারে।’
পোস্টে আরো বলা হয়েছে, ‘২০০৮ সালের আগে দেশে আইসিটি শিল্পে রপ্তানী আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারে। এর নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। যদিও ১৯৯৯ সালেই প্রযুক্তি শিল্পে উন্নয়নের জন্য কাজ শুরুর পরিকল্পনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিভিন্ন সরকারের আমলে তা চাপা পড়ে যায়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় এই স্বপ্ন রূপ নেয় বাস্তবে।’
‘দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গড়ে ওঠে হাইটেক পার্ক। যেখানে একে একে বিনিয়োগ করে ৩৩টি দেশী বিদেশী বৃহৎ প্রযুক্তি শিল্প কারখানা। অরিক্স বায়োটেক, ভাইব্রেন্ট, নোকিয়া এদের মধ্যে অন্যতম। হাইটেক পার্কের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, প্রযুক্তি আমদানী কারক দেশ থেকে রপ্তানীকারক দেশে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশ’।
‘শুধু বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আগমনই নয়, পাশাপাশি দেশী প্রতিষ্ঠান গুলোও যেন বিশ্ব জয় করতে পার সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার’ যোগ করেন আইসিটি উপদেষ্টা।