সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ও ডাটা সুরক্ষায় নীতিমালা তৈরি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে
গ্রাহক অধিকার রক্ষা ও নিরাপত্তায় কাজ করে যাওয়া সামাজিক সংগঠন, বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি মনে করছে, প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বিশ্ব আজ এক পরিবারে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ঘটনা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে নানা রটনা উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আইনে অপরাধী প্রমানিত না হবার পূর্বেই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল’ হচ্ছে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড আইনত অপরাধ উল্লেখ করে রাশিয়া, ইউরোপ, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি ভিয়েতনামের মতো দেশেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। কিন্তু এই আইনে কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয়, ডাটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাউকেই আইনের আওতায় আনা হয়নি। যেমন- রামু,ও নাসিরনগরের দুর্ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমূহকে শাস্তির আওতায় বা জরিমানা করা হয়নি।
প্রসঙ্গক্রমে সাম্প্রতিক সময়ে চিত্রনায়িকা পরিমনির ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডকে নিয়ে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে তা কতটুকু নীতি যোগ্য সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই মানবাধিকার কর্মী।
জার্মানির আইনের উদ্ধৃতি করে, বাংলাদেশেও যেনো সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সম্পর্কে যদি কোন অভিযোগ আসে তা ২৪ঘণ্টার মধ্যে পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা দাবি জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি।
ব্রিটেনের মতোই বাংলাদেশ সরকারও কোন ক্ষতিকর কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরিমানা বা ওই প্রতিষ্ঠানকে ব্লক করে দিবার নীতিমালা প্রণয়ন করবেন বলেও প্রত্যাশা করেন এই নেতা।