ইসরায়েলে তৈরি হ্যাকিং সফটওয়্যার পেগাসাস ব্যবহারকারী ৪৫টি দেশের মধ্যে ভারত ছাড়াও উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম।
ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ এই নজরদারি সফটওয়্যার কাদের দিয়েছে সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ না করলেও এই তালিকা ফাঁস করেছে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর সিটিজেন ল্যাব।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গঙ্গা নামের একটি অপারেটর ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, হংকং, ভারত ও পাকিস্তানে নজরদারি চালিয়ে আসছে।
এসব দেশে পেগাসাসের সম্ভব্য আক্রমণের শিকার ১২টি নেটওয়ার্কের নামও প্রকাশ করেছে সিটিজেন ল্যাব। এরমধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সংস্থা টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন ডিজিবাংলাকে বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নয় জানি ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে সরকার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সরকারের পক্ষ থেকে “এ রকম সফটঅয়্যার কেনার কোনো প্রশ্নই আসে না” মন্তব্য করে “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টা ভালভাবে বলতে পারবে” বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সবচেয়ে শক্তিশালী স্পাইওয়্যার হিসেবে বিবেচিত এই সফটওয়্যারে আড়িপাতায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া ফোন নম্বরের একটি ডেটাবেইস ফাঁস হয়। এই ফোন নম্বরগুলো প্রথমে পায় প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, পরে তারা গার্ডিয়ান, দ্য ওয়্যারসহ ১৬টি সংবাদ মাধ্যমকে তা জানায়। তারা সবাই মিলে এই অনুসন্ধানের নাম দিয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’।
এই প্রজেক্ট নিয়ে কানাডার সিটিজেন ল্যাব তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, এ পর্যন্ত ৩৬টি পেগাসাস সিস্টেম তারা শনাক্ত করতে পেরেছে, যারা প্রত্যেকের এক একটি অপারেটর হিসেবে কাজ করছে। এই ৩৬টি পেগাসাস সিস্টেম থেকে ৪৫টি দেশে নজরদারি চালানো হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। এর অন্তত দশটি অপারেট তাদের নজরদারি তৎপরতা চালিয়েছে অন্য দেশেও।