ভারতে অবাধ স্বাধীনতা হারালো মাইক্রোব্লগিং টুইটার। ফলে এখন থেকে ব্যবহারকারীদের কনটেন্টের দায় নিতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকেই। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের নতুন আইটি নীতিমালা মানতে না পারার কারণেই এমন রায় দিয়েছে ভারতীয় আদালত।
এর আগে একাধিকবার টুইটারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন। একাধিক বক্তৃতায় এই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিকে তুলোধুনো করেন প্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ।
মূলত সাম্প্রতিক সময়ে আরোপিত ‘কমপ্লায়েন্স অফিসার’ নিয়োগ নীতি না মানায় টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। নিউ দিল্লির উচ্চ আদালতে টুইটারের অসহযোগিতার ফলে আইটি আইনের একাধিক ধারার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে নালিশ দেয় ভারতের আইটি মন্ত্রণালয়।
এ দাবি উঠার পরই টুইটার ভারতে ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট প্রশ্নে আইনি সুরক্ষা হারায়। গত ৫ জুলাই আদালতের নথিতে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
তবে টুইটার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এর আগে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, তারা সহযোগিতার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।