সংবাদের উৎস জানা এবং গোপন খবর প্রকাশ ঠেকাতে গোপনেই সাংবাদিকদের কল রেকর্ড কবজা করেছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। বাইডেন প্রশাসনের সংশোধিত আইনের পর জানা গেলো- সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে যেমনটা করেছিল, একইভাবে টেকজায়ন্টাদেও চাপে রেখেছিলো তৎকালীন প্রশাসন।
শুক্রবার অ্যাপলের মুখপাত্র ফ্রেড সেইঞ্জ জানান, এতোদিন তাদেরও কণ্ঠরোধ করে রেখেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। তথ্য নিলেও কোনোভাবেই এই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল অ্যাপলকে।
সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, মাইক্রোসফটকেও এমন তলবনামা পাঠানো হয়েছিলো।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়ে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির অন্তত দুজন ডেমোক্র্যাট সদস্যের তথ্য দিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে বাধ্য করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডাম শিফ ও প্রতিনিধি এরিক সোয়ালওয়েলের পাশাপাশি ওই কমিটির সঙ্গে যুক্ত আরও ডজনখানেক মানুষের ব্যাপারে তথ্য নিয়েছিলো প্রশাসন। তাদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও ছিলো। অ্যাপল তখন কেবল ‘মেটাডেটা’ দিয়েছিলো। ছবি কিংবা ই-মেইলের বিষয়বস্তু তাতে ছিল না।
তবে মেটাডেটাও তথ্য উল্লেখ করে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজনের ব্যাপারে মেটাডেটা থেকে অনেক কিছু জানা সম্ভব। মনে করুন কোনো মানুষ কখন, কোথায় এবং কার সঙ্গে কথা বলেছে জানতে পারলে এবং এর সঙ্গে আরও তথ্য মিলিয়ে নিলে অনেক সময় পূর্ণাঙ্গ চিত্র দাঁড়িয়ে যায়।