চলতি বছরেই সরকার ৫জি চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৫জি আসলে আইওটি ডিভাইস আসবে। বিটিআরসি ২০১৮ সালে আইওটির জন্য গাইডলাইন তৈরি করেছে এর মাধ্যমে যারা আইওটি ব্যবসা করে এবং আইওটি পণ্য তৈরি করবে তাদের উৎসাহ দেয়া হবে। আইওটি পণ্য আমাদের আমদানি করলে হবে না, নিজেদের তৈরি করতে হবে। মেইড ইন বাংলাদেশের মত, মেইড ইন বাংলাদেশ যুক্ত আইওটি ডিভাইস আমরা তৈরি করবো।
শনিবার ভার্চুয়ালি রবির বিশেষ আয়োজন “রবি রেডটক্সস” এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে মিলিয়ে আমাদের স্মার্ট ইন্ড্রাস্টি করতে হবে। এই স্মার্ট ইন্ড্রাস্টির জন্য প্রয়োজন আইওটি ডিভাইস পাশাপাশি যুক্ত করতে হবে এআই, বিগডাটা প্রযুক্তি। সব কিছু মিলে আমরা স্মার্ট কান্ট্রি, স্মার্ট অর্থনীতি তৈরি করবো অন্যদের উপর নির্ভর থাকবো না।
বাংলাদেশে ফোরজির কাভারেজ থাকলেও দেশের মানুষের বড় একটা অংশ এখনো ফোরজি ব্যবহার করছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে ফোরজি সুবিধা থাকলেও মানুষ এখনো বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে ১ হাজার টাকার নিচে ফোন ব্যবহার করছে। এ জন্যই ফোরজি ব্যবহারকারী বাড়ছে না। তাই যারা ফোন তৈরি করছে তাদের পরিকল্পনা করা উচিত কিভাবে ফোরজি ফোন ১ হাজার টাকার মধ্যে নিয়ে আসা যায়। এ সাথে সম্পর্কিত সবাইকে নতুন প্যাকেজ তৈরি করতে হবে।
চীনা মার্কেট বাজার দখল করে আছে বাংলাদেশে ফোন তৈরি হলেও বিশ্ব মার্কেটে কেন আমরা যেতে পারছি না অপর এমন এক প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন, আমাদের ব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, বিশ্বের যে সকল দেশে সবচেয়ে বেশি ফোন ক্রয় করে তাদের দেশে গুড ব্র্যান্ডিং করতে হবে। কারন তারা এখনো জানে না বাংলাদেশে ফোন তৈরি হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের গ্রে মার্কেট শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে জানিয়ে নাসিম পারভেজ বলেন, দেশে ফোন উৎপাদনের ফলে গ্রে মার্কেট ছোট হয়ে গেছে। জুলাই মাসে বিটিআরসি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু করবে ফলে কেউ আর অবৈধ ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। এর মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎতে মোবাইল ফোনের গ্রে মার্কেটেশূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনবো।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন রবির মানবসম্পদ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ পারভেজ।