এআই, রোবটিক্স ও সার্ভিল্যান্স প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার তৈরিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দেশের প্রথম হাই-টেক পার্ক ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে জায়গা বরাদ্দ নিয়েছে প্রযুক্তিপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এক্সেল ও কিনবো স্মার্ট এবং বায়ো-প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি। জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত তিনটি চুক্তিতেই সই করেছেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম।
অপরদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে চুক্তেতে সই করেছেন এক্সেল ইন্টেলিজেন্ট সলিউসন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা, স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: হাসিব আহমেদ এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সমীর কুমার সরকার।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর ও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে দুই একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে কিনবো এক্সেল ইন্টেলিজেন্ট সলিউসন্স লি.। সেখানে তৈরি হবে হিকভিশন’-এর অত্যাধুনিক নিরাপত্তা নজরদারী যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ডিভাইস, নেটওয়ার্কিং, টেলিকম, এআই ও রোবটিক্স যন্ত্রপাতি। তিন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে নতুন করে সৃষ্টি হবে প্রায় ৩৫০ জনের কর্মসংস্থান।
অপরদিকে স্মার্ট টেলিভশন, স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্মার্ট হোম এপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদন করবে কিনবো স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড । এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে এক একর জমি বরাদ্দ নিয়েছে। কিনবো সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন। চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-তে এক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং এতে করে ৬৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এছাড়াও আট মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে বরাদ্দ প্রাপ্ত এক একর জায়গায়ায় জিনোম সিকোয়েন্স, বায়ো-টেকনোলজি, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নিয়ে কাজ করবে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন। উচ্চ গবেষণাধর্মী এই কাজে সৃষ্টি হবে ১২০ জন মানুষের কর্মসংস্থান।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম বলেন, কালিয়াকৈরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’ দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাই-টেক পার্ক। ৩৫৫ একর জমিতে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে আজকের তিনটি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বমোট ৪২টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হলো। ইতোমধ্যে সেখানে ১৪টি কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন এসেম্বলিং ও উৎপাদন, অপটিকাল কেবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা-সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। আজকে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান তিনটি দ্রুত এই পার্কে তাদের কাজ শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
