বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজনে শুরু হলো আইডিয়াথন প্রতিযোগিতা। উদ্ভাবনী স্টার্টআপের খোঁজে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের উদ্যোগে শনিবার ভার্চুয়াল আয়োজনে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তিনি বলেন, জাতিগত ভাবে আমাদের তরুণদের ঝুঁকি নেয়ার যোগ্যাতা রয়েছে। তারা ঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করেই বেঁচে থাকে। তারা প্রতিযোগিতা না করে সহযোগিতার মাধ্যমেই উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ব জয় করবে।
লেটস স্টার্ট ইউ আপ’ স্লোগানে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ৩০ টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ও বিভিন্ন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন।
অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্পের জন্য একটি ভার্চুয়াল মার্কেট প্লেস তৈরি, থ্রিডি প্রিন্টিং শিল্প গড়ে তোলা এবং সুপার ওয়ালেটের জন্য অনুরোধ জানান গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট আরএইচএম আলাওল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫ উদ্যোগের উদ্যোক্তারা পাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন, ফান্ডিং, আন্তর্জাতিক পেটেন্টসহ কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের সহযোগিতা। এছাড়া সেরা ২৫ উদ্যোগ পাবে বিশেষ মেনটরিং এবং সম্মাননাপত্র।
তবে এজন্য বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আগ্রহী স্টার্টআপগুলো অনলাইনে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন শেষে তাদেরকে অংশ নিতে হবে আইডিয়াথন প্রতিযোগিতার সেরা স্টার্টআপ বাছাইপর্বে।
প্রতিযোগিতায় সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টার (কেপিসি) এবং কোরিয়া ইনভেনশন প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন (কাইপা)। এছাড়া রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিস ও গ্লোবাল স্টার্টআপ ইমিগ্রেশন সেন্টার।