চলতি বছরে প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যাংকিং বা ই-ব্যাংকিংয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বছরের (২০২০ সাল) প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার এই লাইভ সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ফয়সাল রহমান, হেড অব কনজিউমার ব্যাংকিং এ এন এম মাহফুজ, হেড অব এমএসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ এম. ওমর তৈয়ব, হেড অব টিবি, এসএফডি ও আইডি শামস্ আবদুল্লাহ মোহাইমিন, সিওও আবদুল হালিম, হেড অব ট্রেজারি এস কে. মতিউর রহমান, হেড অব আইসিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন এবং হেড অব ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন্স নাজমুল করিম চৌধুরী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কমে এসেছে পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতি। একই অবস্থা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতেও। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৬৭ শতাংশ রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেলেও আমদানি-রপ্তানির আকার একেবারেই ছোট হয়ে এসেছে। এর প্রধান কারণ একটাই করোনাভাইরাস। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাংক যা কিছুই করুক না কেন প্রাইম ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলার চেষ্টা করে যাবে। এই মূহুর্তে খাতের সবাই একত্রে কাজের পাশাপাশি আইটি ভিত্তিক ব্যাংকিং বা ই-ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দেবে।
একইসঙ্গে কর্মী, গ্রাহক ও কম্যুনিটির স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে জানিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা বাসা থেকেই কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যাংকের মুনাফা এবং ঋণ বিতরণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি প্রভাব ফেলেছে সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নিয়ে আসার নির্দেশনা। তবে এই সংকট মোকাবেলায় সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। যা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্যাংকিং খাত। এতে সরাসরি সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সিআরআর,পলিসি রেট, এ ডি আর সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ তৈরি করাই বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিজনিত সংকট মোকাবেলা আরো সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো জানান আলোচ্য সময়ে ৬৭ শতাংশ রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাইম ব্যাংকের।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ পয়সা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৫ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের মার্চ শেষে ছিল ২৩ টাকা ৫৭ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।