স্থানীয় বাজারে বিক্রি ও সেবা গ্রহণ বন্ধ থাকায় দেশের ৩০০ স্টার্টআপের প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই স্টার্টআপগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে কর্মরত প্রায় দেড় লাখ কর্মীর চাকরি হুমকির সম্মুখীন।
অনেক স্টার্টআপের রফতানি আয় অন্তত ৮০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) একটি জরুরি সভার আয়োজন করে ভিসিপিয়াব’র সদস্য ও পোর্টফোলিও কোম্পানিগুলো রক্ষায় ৬টি প্রস্তাব দিয়েছে সরকারকে।
এর মধ্যে রয়েছে আগামী ৬ মাস কর্মীদের বেতনের একটি অংশ, আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন স্টার্টআপগুলোর অফিস ভাড়া সরকারি অনুদান হিসেবে দেওয়া। সরকারি কাজে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া, ভিসিপিয়াব’র সদস্য ও পোর্টফোলিও কোম্পানিগুলোর জন্য ২ শতাংশ জামানতবিহীন ঋণ প্রদান ইত্যাদি।
এ বিষয়ে ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসান বলেন, গত ১২ বছরে এই উদ্যোক্তাদের রক্ত, ঘাম এবং ত্যাগের ফলে আমাদের দেশে অনেকগুলো উদ্ভাবনী স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আজ এই কভিড-১৯ মহামারীর প্রকম্পনে আমাদের তিলে তিলে গড়ে তোলা স্টার্টআপ ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেমটি নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে যা সরকারের প্রণোদনা ও আশু পদক্ষেপ ছাড়া মুখ থুবড়ে পড়বে।