উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ইংরেজি ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিষয়ে জ্ঞান থাকতেই হবে-এমনটা ঠিক নয়। সুন্দর করে কথা বলতে পারলেই উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
নতুন উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘স্টার্ট আপ যশোর’ সংগঠনের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান। ‘একটি আইডিয়া, একটি প্রতিষ্ঠান’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করে এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি।
যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক মিলনায়তনে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত সংগঠনিটর অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাঁচতে শেখা’র নির্বাহী পরিচালক আঞ্জেলা গোমেজ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্যে ‘স্টার্ট আপ যশোর’ সংগঠনটি কি ধরণের সহায়তা দিবে সে বিষয়ে মূল ধারণা উপস্থাপন করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও মাইক্রোড্রিম আইটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহানূর মো. শরীফ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম ও স্নাতক পর্বে শিক্ষার্থী তাসনিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে আইটি পার্কের সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচজন তাদের এগিয়ে যাওয়ার গল্প শোনান।
এ পর্বে বক্তব্য রাখেন কেনারহাট’র নাহিদুল ইসলাম, মাই লাইট হোস্টের রকিবুর রহমান, হাসনাত ইন্টারন্যাশনালের এএইচএম আরিফুল হাসনাত, ভিক্স আইটির ভিক্টর সাহা ও সফট এক্স’র মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানে নতুন উদ্যোক্তা, বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্বদ্যিালয়ের স্নাকত পর্বের ৩৫০ জন অংশ নেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চাকরি ফোকাস করা হয়েছে। এখন এই শিক্ষাব্যবস্থা ১৮০ ডিগ্রি বদলে উদ্যোক্তা সৃষ্টির দিকে ঘোরাতে হবে। কারণ সরকারি-বেসরকরি মিলে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষের চাকরি দেওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বছরে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। সবাই যদি চাকরির পেছনে দৌড়ায়, তাহলে দেশ ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এজন্য আমাদের মধ্যে ‘চাকরি করব না, চাকরি দেব’ মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।
প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম খান বলেন, চাকরি করে বুঝতে পেরেছি, কোথায় কোথায় সমস্যা আছে। এজন্য এখন চাকরি না করে সবাইকে উদ্যোক্তা হতে বলছি।