ই-কমার্স ইনোভেটরস অব বাংলাদেশের উদ্যোগে পূবাইলের অরণ্যবাসে অনুষ্ঠিত ফ্যামেলিডে থেকে ফেরার পথে এর উদ্যোক্তাকে আটক করছে গাজীপুর পূবাইল ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিকনিকের বাস থেকে নামিয়ে মোহাম্মাদ রাকিব হাসান-কে একটি সাদা মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো চ ১৯৫১২১) তোলা হয়। তিনি মোবাইল ফোনে ই-ক্যাব সাবেক সভাপতি শমী কায়সারের সঙ্গে থাকা তার ছবি দেখিয়ে আটক দেখান। রাকিব একসময় স্ট্যান্ডিং কমিটির ইয়্যুথ ফোরামের সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে, পিকনিক থেকে ফেরার সময় পিকনিক স্পটের সামনে থেকে তাকে আটক করে মাইক্রোবাসে তোলা হলে এর গতি রোধ করেন অন্য উদ্যোক্তারা। তারা পুলিশের কাছে আটকের কারণ জানতে চাইলে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন সাদা পোশাক পরিহিত গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য। এসময় তারা বাসে করে সবাইকে থানায় নিয়ে যেতে দাবি তোলেন। তবে গাজীপুর নর্থ কমিশনার দেখা করতে বলে জানান তিনি। এসময় ওই গাড়িতে আরো কয়েকজন সদস্য উঠে পড়েন। গাড়ি ছাড়লে পিকনিকের বাসও ওই গাড়ির পেছনে পেছনে পূবাইল থানায় গিয়েছে। সেখানে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ই-কমার্স উদ্যোক্তা থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
এ বিষয়ে পূবাইল থানা পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, কী অভিযোগে আটক করা হয়েছে তা জানিনা। ডিবি পুলিশ তাকে পূবাইল থানায় নিয়ে গেছে। আমি বাইরে আছি।
ডিবি পুলিশের ওসি শাহীন খান ডিজিবাংলা-কে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। তবে কী অভিযোগ তা তানি বলতে রাজি হননি। বলেছেন, তাথ্য যাচাই বাছাই করে এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি আটক না গ্রেফতার তা জানানো যাবে। অভিযোগের সত্যতা না পেলে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হবে।
তবে একটি সূত্র দাবি করছে, অপারেশন ডেভিল হান্টে রাকিবের নাম রয়েছে। অবশ্য রাকিবের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, তিনি জুলাই আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সপক্ষে সক্রিয় ছিলেন।