রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্টলে ডজন খানেক বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বই দেখা গেছে। কেনার চেয়ে বইয়ের সঙ্গে সেলফি তুলতেই বেশি আগ্রহী দেখা গেছে বেশি।
এরমধ্যে নতুন বইয়ের কতারে যুক্ত হয়েছে ১৩টি বই। এর মধ্যে অন্যতম আদর্শ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘নেটওয়ার্ক এবং আইএসপি অটোমেশন’। এটি লেখক রকিবুল হাসানের রোড টু হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি সিরিজের ৮ম বই। এটা লেখকের প্রকাশিত ১০ম বই। লেখক মনে করছেন, বইটি নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটা ভালো রিসোর্স হয়ে উঠবে।
মেলার ১৯ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। বইটিতে নেটওয়ার্ক অটোমেশনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ইন্টিলিজেন্ট ওয়াইফাই ম্যানেজমেন্টও। দাম ধরা হয়েছে ৬৪০ টাকা।
বইটির লেখক রকিবুল হাসান ছিলেন সেনা কর্মকর্তা। সেখান থেকে যোগ দিয়েছিলেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি-তে। অবসর নিয়ে যুক্ত হয়েছেন একটি ইন্টারনেট সেবদাতা প্রতিষ্ঠানে। ইন্টারনেট সেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে প্রকৌশলীদের নিত্যদিনের গলধঘর্ম অবস্থা এবং ব্যক্তিগত সময় না থাকার যন্ত্রণা ঘুচতেই গত বছর রোজার ছুটিতে বইটি লেখার কাজ শুরু করেন লেখক রকিবুল হাসান।
কোথা থেকে এই বই লেখার ধারণা এলো প্রসঙ্গে লেখক একটি গল্প ফেঁদে বসেন। ‘প্রায় পাঁচ বছর আগের কথা। টেসলার এক ভদ্রলোক – নাম তার আন্দ্রেজ কাপার্থী – একটা দারুণ আইডিয়া দিয়েছিলেন। বললেন, “চলুন, এমন একটা সিস্টেম বানাই, যেখানে মেশিন খাটবে আর আমরা ফুর্তি করব!” আমি তো শুনে একদম মুগ্ধ! ভাবটা কি জানেন? ইঞ্জিনিয়াররা একটা জাদুর কাঠি বানাবেন, যেটা দিয়ে সব কাজ অটো হয়ে যাবে। আর তারা বেমালুম ছুটিতে চম্পট দেবেন! দারুণ না?’
“এখন শুনুন মজার ব্যাপার – ওরা সত্যি সত্যি ছুটিতে যেতে পেরেছিলেন কি না, সেটা বড় কথা না। আসল মজা হল, যে সব কাজ আগে হাত দিয়ে করতে হত, সেগুলো এখন মেশিন করছে! আর যারা আগে লেবেল মানে লেবেলিং করতেন, তাদের এখন হাঁফ ছাড়ার সময় হয়েছে। কি, বুঝতে পারছেন? যন্ত্র খাটবে আর আমরা মজা করব! আর যদি মজা না-ই করতে পারি, অন্তত মনে একটা শান্তির ভাব আসবে যে, “আরে বাবা, আমার বদলে ওই যন্ত্রটা খাটছে!”- যোগ করলেন তিনি।
আরও বললেন, আমিও ঠিক এই কাজটাই করতে চাই। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ভাইদের একটু হাঁফ ছাড়ার সময় দিতে চাই। ওরা যেন একটু ঘুরতে ফিরতে পারেন, জীবনটা উপভোগ করতে পারেন। এই যে বলে না – লাইফ ইজ শর্ট, এনজয় ইট! তাই না? আসলে কি জানেন, এই ইঞ্জিনিয়ারদের লাইফে তো ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স বলে কিছু নেই। সব সময় কাজ আর কাজ। তাই ভাবছি, এই অটোমেশনের ম্যাজিক উনাদের জীবনে একটু রঙ ছড়াবে। হয়তো এর পর থেকে উনারা লোকাল প্রজেক্টের পাশাপাশি গ্লোবাল প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগও পাবেন। তাই বলছি, এই অটোমেশন প্রজেক্টটা পাল্টে দেবে আমাদের জীবন। দেখুন না কি হয়!