আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মৌ চাষ কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহী লক্ষ জনগোষ্ঠীকে মৌ চাষে উদ্বুদ্ধকরণসহ অধিক মধু উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশে খাঁটি মধুর চাহিদা পূরণ, সফল পরাগায়নের মাধ্যমে ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। এই উদ্যোগকে টেকসই করতে এবার বগুড়ায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমির উদ্যোগে চালু হলো দেশের প্রথম মধুর হাট। হাটটি প্রতি সপ্তাহের সোমবার আরডিএ-এর হোলসেল মাকের্টে বসবে।
শেরপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বেসরকারি সংস্থা শিসউক এর যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশ মৌ-চাষ সমিতি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গড়ে ওঠা এই মৌ বাজারচি সোমবার উদ্বোধন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার মহাপরিচালক ড. এ কে এম অলি উল্যা।
এর আগে একাডেমীর আইটি ভবনের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ মধু উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক সুস্মিতা তাসনীমের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রমের নির্বাহী পরিচালক সাকিউল মিল্লাত মোর্শেদ, একাডেমির যুগ্মপরিচালক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক মতলবুর রহমান, হাজী মোহাম্মদ দানেস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সরকার ও একাডেমির উপ-পরিচালক রেবেকা সুলতানা।
সেমিনারে অতিরিক্ত সচিব ড. এ,কে,এম অলি উল্যা বলেন, সাপ্তাহিক সোমবার হাটের দিনে আরডিএ এর কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট সংলগ্ন মধুর হাট থেকে কাঁচা মধু পাইকারি ক্রয় করে দেশের বড় বড় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানি প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বাজারে আনবে। এতে করে বিদেশী মধু বাজারজাতকরণ কোম্পানির উপর নির্ভরশীলতা কমবে। ফলশ্রুতিতে সাধারণ মানুষ ন্যায্য মূল্যে নিরাপদ মধু হাতের নাগালে পাবে।
সেমিনারে বাংলাদেশের সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, বিএসটিআইর প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা, মৌ-চাষি ও সুধীজন অংশ নেন।