চীনের সৌর প্যানেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ট্রিনা সোলার তাদের নতুন প্রযুক্তির সৌর মডিউলের রূপান্তর দক্ষতায় বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। সোমবার প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরীক্ষাগারে তাদের এন-টাইপ ফুললি প্যাসিভেটেড হেটেরোজংশন (এইচজেটি) মডিউল ২৫.৪৪ শতাংশ দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। এই ফলাফল জার্মানির ফ্রাউনহোফার ক্যালল্যাব দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। খবর রয়টার্স।
প্যাসিভেশন হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা সৌর কোষের পৃষ্ঠের ত্রুটিগুলো ঢেকে দেয়। কোষের দক্ষতা বোঝায়, কী পরিমাণ সৌরশক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। সৌর কোষের দক্ষতা বাড়ালে স্থাপনার আকার কমানো এবং খরচ কমানো সম্ভব।
সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্টিন গ্রিন, যিনি দীর্ঘদিন সৌর কোষের দক্ষতার রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন, বলেছেন, এই ফলাফল এইচজেটি প্রযুক্তির সম্ভাবনা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, “দীর্ঘমেয়াদে দক্ষতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি কোনো প্রযুক্তি এখন ব্যয়বহুল হলেও, শিল্প খাতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের পর ব্যয় দ্রুত হ্রাস পায়।”
ট্রিনা সোলারের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গাও জিফান জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি প্যাসিভেটেড সৌর প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ আরও বাড়াবে।
বর্তমানে এইচজেটি প্রযুক্তি বাজারের একটি ছোট অংশ দখল করে আছে। সৌর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনফোলিংকের অনুমান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে উচ্চ দক্ষতার সৌর কোষ ক্ষমতার ৭ শতাংশ, ২০২৫ সালে ৮ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ৯ শতাংশ এইচজেটি প্রযুক্তি দ্বারা পূরণ হবে। আগামী পাঁচ বছরে টপকন প্রযুক্তি বাজারের প্রধান অংশ দখল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রিনা সোলার জানিয়েছে, এইচজেটি প্রযুক্তির জন্য এটি একটি রেকর্ড ছাড়াও, এটি একক স্ফটিক সিলিকন সৌর কোষ মডিউলের আলোক বৈদ্যুতিক রূপান্তর দক্ষতায় একটি নতুন মাইলফলক।
ডিবিটেক/বিএমটি