বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ সচল হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহসহ অন্যদের আইডি এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এই আইডি ছাড়াও আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। সেটি সারাক্ষণ সচল ছিল। ফিরে পাওয়া আইডিতে সর্বশেষ মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে স্ট্যাটাস দেখা গেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতা তাদের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভেট রেখেছেন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম তার একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বিশেষ নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কারণে আমার আইডিটি ডিএকটিভ করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফেসবুক আইডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
‘Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce’ নামে একটি পেজ থেকে দাবি করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকা অনেকের আইডি ও পেজ ডিজেবল করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে সাইয়েদ আবদুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রমুখ।
পেজে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে Saiyed Abdullah পেজটি ফেসবুক থেকে রিমুভ করা হয়েছে।
অন্য আরেক পোস্টে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আবার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে যে নৈরাজ্য হয়েছে, তা কথিত সমন্বয়ক রাফির মাধ্যমে হয়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে খান তালাত মাহমুদ রাফির আইডি পার্মানেন্ট ডিজেবল করে দেওয়া হয়েছে।
পেজে আরেক পোস্টে বলা হয়, ছাত্রলীগের ভেতর থেকে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর আইডি উড়িয়ে দেওয়ার পর ভয় পেয়ে সে ডিজেবল করে রেখেছে। ‘বাংলার অনলাইন রাখিব রাজাকারমুক্ত’ স্লোগানেই আমাদের এই যাত্রা। Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce & রাজ্যসভা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিদের যম।