নগরায়নের পাশাপাশি ঝুঁকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। সেই ঝুঁকি হ্রাসে চলছে প্রযুক্তির ব্যবহার। এমন পরিস্থিতে নতুন সম্ভাবনা যুক্ত হচ্ছে ক্যারিয়ারে। প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই চাহিদা মেটাতে তৎপর। সিএসই, ট্রিপলই, ম্যাকানিক্যালের পাশাপাশি এখন পরিবেশ ও পরিবেশসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি চালু করেছে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
ইনস্টিটিউট ও ভিন্ন ফ্যাকাল্টি নামে পরিবেশ বিজ্ঞান শেখাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য রয়েছে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকত্তোর করার সুযোগ। শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাস্ট) এ রয়েছে ফরেস্টি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) রয়েছে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্ট স্ট্যাডিজ। একই বিভাগে রয়েছে ফরেস্টি সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট। খুলনার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে ইনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পাওয়ার টেকনোলজি বিষয়ক বিভাগ। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পরিবেশ বিজ্ঞান ও রিসোর্স ব্যবস্থাপনা বিভাগ। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পরিবেশ্ব বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ক সেন্টার। একইভাবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে রয়েছে পরেবশ ও উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগ। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ফ্যাকাল্টি অব লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স।
এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এনভায়রনমেন্টাল সেল খোলা হচ্ছে। সেখানে এ বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যেমন- সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবনসহ উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশগত ঝুঁকি নিরূপণের জন্য পরিবেশবিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটদের দরকার হচ্ছে। বিভিন্ন আইএনজিও (বিশেষ করে জাতিসংঘের অর্গানাইজেশনগুলো) পরিবেশবিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্পে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। ফলে চ্যালেঞ্জিং ক্যারিয়ারের জন্য এটি হতে পারে সুবর্ণ সুযোগ।