দেশে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজারের বেশি মানুষের জীবিকার সঙ্গে জড়িত ই-সিগারেট বা ভেপিং। তাই এ শিল্পের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা এই বাজারকে অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে ভেপিং পণ্যের অবৈধ বাজার। এতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানে আঘাত আসবে এবং সরকার রাজস্ব হারাবে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই শঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেন্ডস্টা)। এ নিয়ে আইন সংশোধনে বৈষম্য নয়, অংশীদারিত্ব চাই’ প্রতিপাদ্যে সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধবও করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ নভেম্বর ই-সিগারেটের ওপর প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেয়া বিবৃতিতে জোরালো আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেপিং নিয়ে “একটি ‘হাই-পাওয়ার্ড অ্যাডভাইজরি কমিটি’ গঠন করা হবে এবং ওই কমিটি রাজস্ব বিবেচনায় আইনটির পরিমার্জন করতে নতুন করে ভাবতে পারে“ উল্লেখ করে সরকারের এ পদক্ষেপে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বেন্ডস্টা।
এতে অংশগ্রহণমূলক ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ সুগম হবে বলে মনে করে সংগঠনটির সভাপতি সুমন জামান। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পর্যালোচনার জন্য গঠিত পরামর্শক কমিটিতে স্টেকহোল্ডারদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সংগঠনটির দাবি, তাদেরকে এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করলে তা জনস্বাস্থ্য লক্ষ্য অর্জনে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বেন্ডস্টা বলছে, জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য তামাকের ক্ষতি হ্রাসকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে এ সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করে ধূমপান কমানো ও কর্মসংস্থান রক্ষার মতো নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।