মানবতাবিরেধী অপরাধ ও গণহত্যা সম্পর্কিত সংবেদনশীল ডিজিটাল সাক্ষ্য নিরাপদে সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য আইসিটি বিভাগের অন্তর্গত ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির বিভিন্ন অবকাঠামোতে বৈধ প্রবেশাধিকার চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আলামত ও সাক্ষ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে একটি আবেদন করেছে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি ছাড়াও এই প্রসিকিউসনের অপর সদস্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম মঈনুল করিম ও মো. নুরে এরশাদ সিদ্দিকী (ডেপুটি এটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার), শাইখ মাহদী, তারেক আব্দুল্লাহ এবং তানভীর হাসান জোহা (ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ)।
ফরেনসিক ল্যাব ও ডাটা সেন্টারে প্রবেশাধিকার পেলে তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলো নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রকিকিউশন দ্রুত, সঠিক ও আইনসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বরাবর এ নিয়ে একটি আবেদনও পাঠানো হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আইনসম্মত উপায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওয়েবসাইট, ডোমেইন, ই-মেইল এবং সার্ভার সংক্রান্ত বিষয়ে তার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এই আবেদনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সংগ্রহ করার জন্যই আইসিটি ও টেলিকম মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার উপযোগী ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের অনুমোদিত সার্ভারে ডিজিটাল আলামত সংরক্ষণ ও সার্ভারের বিশেষায়িত সাইবার নিরাপত্তা এবং এর অবকাঠামোগত সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।
এছাড়াও চিঠিতে সংবেদনশীল তথ্যের সঠিক চেইন অব কাস্টডি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক নিরাপদ সার্ভার ও রাষ্ট্রীয় ডোমেইন ই-মেইল সংক্রান্ত সেবা প্রদান, সুষ্ঠ বিচার ও তদন্তের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলোতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।