পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। বিএসইসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন সংস্থাটির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, এএমডি ও সিএফও মো. জিয়াউল আলম, সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।
বৈঠক নিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে ওয়ালটনের অধীনে থাকা মৌলভিত্তিসম্পন্ন বৃহৎ ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে কীভাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে গ্রুপটির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। সার্বিকভাবে সফল ও ফলপ্রসূ ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন, আইপিও অনুমোদন ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের ফ্রি ফ্লোট শেয়ার বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থায়ন, সাসটেইনেবল ও গ্রিন বন্ডের মাধ্যমে অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ওয়ালটন গ্রুপের অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বিষয়ে কথা হয় এবং তাদের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহ করে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ আনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যা খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানির সুফল জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হয়। দেশের বৃহৎ ব্যক্তি উদ্যোগের কোম্পানি ও গ্রুপগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের জনসাধারণও উপকৃত হবেন।
কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।
পুঁজিবাজারের সংস্কারের জন্য বিএসইসি গঠিত টাস্কফোর্সের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের সুপারিশের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সংস্কার বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেবে বিএসইসি। সে লক্ষ্যেই দেশের পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে দেশের বড় ও স্বনামধন্য গ্রুপগুলোর সঙ্গে নিয়মিতই আলোচনায় চলছে। ইতোমধ্যে এ ধরনের বেশকিছু বৈঠকে বিএসইসি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এ প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে খুব শিগগিরই ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি সম্ভব হবে বলে বিএসইসি আশাবাদী।