ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরবিচ্ছিন্ন গতি ও মান উন্নয়নে জাতীয় তরঙ্গ বরাদ্দ নীতিমালা থেকে ৬ গিগাহার্জ ব্যান্ড উন্মুক্ত করার পর ডুয়াল ব্যান্ড সাপোর্ট করে না এমন রাউটার দেশে আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি সূত্রে প্রকাশ, বাজারে বিক্রি হওয়া রাউটারগুলি একটি মাত্র ব্যান্ড সাপোর্ট করে। রাউটারগুলোর ক্যাপাসিটি কম থাকে। ফলে গ্রাহক সেখান থেকে গতিময় ইন্টারনেট সেবা পান না। তাই আগামীতে রাউটার উৎপাদন কিংবা আমদানির ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৪ হতে ২ দশমিক ৮ গিগাহার্জ এবং ৫ দশমিক ৭ হতে ৫ দশমিক ৮ গিগাহার্জের উভয় ব্যান্ডের স্পেকট্রাম যেনো সাপোর্ট করে সেই বাধ্যবাধকতা আরোপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালের এপ্রিল হতে এটি কার্যকর করা হবে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপনিক) এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য, ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী সুমন আহমেদ সাবির বলেন, বর্তমানে বিশ্বে ২ দশমিক ৪ গিগাহার্জের রাউটার চলেই না। ৬ গিগাহাহর্জ, এক্সটেন্ডেট ৬ গিগাহার্জ রাউটার চলছে। এমন পরিস্থিতিতে সিঙ্গেল ব্র্যান্ডের সস্তা রাউটারের কারণে গ্রাহক মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা পান না। ডুয়াল ব্যান্ড সাপোর্ট রাউটার আমদানি-উৎপাদন বাধ্যতামূলক করে দেয়ার বিটিআরসির সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী।
এতে সরবরাহকৃত ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেটের প্রকৃত গতি গ্রাহরা পাবেন বলে আশা করছেন আইসিসি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক। তিনি বলেন, লাইস্টমাইল কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্সের জন্য এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আরো আগেই এমন উদ্যোগ নেয়া দরকার ছিলো। কেননা, একটি ব্রডব্যান্ড সংযোগে পুরো বাসায় ব্যবহৃত অনেক ধরনের ডিভাইস সংযুক্ত থাকে। সব নতুন মডেলের স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ফোন, ট্যাব ৫ গিগাহার্জ ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সি সাপোর্টেড। এতে করে প্রপার অপটিমাইজ হবে এবং নেটওয়ার্ক কনজেশন থাকবে না। গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন। তখন আমাদের গ্রাহক এন্ডের রাউটার সমস্যার কারণে সেবাদাতাদের গালমন্দ শুনতে হবে না।