আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলো ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) ১৩ সদস্যের নবগঠিত কমিটি। সোমবার রাতে রাজধানীর ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই “মিট এন্ড গ্রিট-২০২৪” অনুষ্ঠানে দশ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটির নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত এই কম্পিউটার মার্কেটের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরে নতুন কমিটি। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টের মাধ্যমে বিগত বছরের মার্কেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। উপস্থাপনায় জানানো হয়, বিগত ১৭ বছরের কোনো হিসাব বা দলিলই রেখে যায়নি আগের কমিটি। জবাবদিহিতার জন্য খুঁজে পাওয়া যায়নি অর্থ বিভাগের কাউকেই। ফাঁকা তহবিল নিয়ে মার্কেটের অকেজো শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ৬টি চলন্ত সিঁড়ি, পার্কিংয়ের অবৈধ দখলদারিত্বের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে হচ্ছে তাদের।
এসময় কম্পিউটার সিটির সকল ব্যবসায়ী, মালিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবসা সেক্টরের বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং ওয়েলকিন কম্পিউটার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম হাজারীকে সদস্য সচিব করে ১৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ওয়াহিদুল হাসান দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আহসানুল ইসলাম নওশাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ এহেতেশামুল হক, সদস্য ফাইন্যান্স মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সদস্য মোঃ মোশাররফ হোসেন, মোঃ ফারুক আহমেদ ভূইয়া, মোঃ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুন্না, মোঃ মাঈন উদ্দিন মজুমদার (সোহাগ), মুহাম্মদ নোমান শিকদার, মোঃ তানজীল হোসেন, মোঃ রাজু হাসান।
এরপর নিজ নিজ বক্তব্যে মার্কেট নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেন নব গঠিত কমিটির সদস্যরা। আহবায়ক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে মার্কেটের উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, দেশের কম্পিউটার ব্যবসায়ের সম্প্রসারনে এই মার্কেটের রয়েছে গৌরবোজ্জল ইতিহাস। নবগঠিত কমিটির হাত ধরে এই মার্কেট শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিকমানের একটি কম্পিউটার মার্কেট হিসেবে প্রশংসিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট ইসিএস কম্পিউটার সিটির নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির আহয়ায়ক হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেয়ায় আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
তিনি আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য খাতের মত আমাদের প্রযুক্তি খাতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের সর্ববৃহৎ এই কম্পিউটার মার্কেটেও মারাত্মক নেতৃত্ব শূন্যতা সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে মার্কেটের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মার্কেটের সম্মানিত ব্যবসায়ীদের অনুরোধে আমরা নতুন একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেছি। আমরা শুধু মার্কেটের অবকাঠামোগত উন্নয়নেই কাজ করবে না বরং ব্যবসায়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।
সদস্য সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম হাজারী বলেন, দেশে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অনেক হলেও এক ছাদের নীচে সুন্দর পরিবেশে মার্কেট রয়েছে সেই তুলনায় অনেক কম। এক্ষেত্রে দেশে একটি সফল মার্কেটের নাম ইসিএস কম্পিউটার সিটি। এই গৌরবোজ্জ্বল মার্কেটের আমি প্রতিষ্ঠা লগ্নের বাস্তবায়িত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ক্রমাগত পরিশোধন করে, একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা প্রয়োজন। ইসিএস কম্পিউটার সিটির নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি দেশের সর্ববৃহৎ এই প্রযুক্তি মার্কেটে এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেন বর্তমান সময়ের পরিবর্তনের সাথে সবাইকে নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আত্মপ্রকাশ করা ইসিএস কম্পিউটার মার্কেটের উপদেষ্টা কমিটি সদস্য মো. সাঈদ-উল-মুনীর, রফিকুল আনোয়ার, মো. নজরুল ইসলাম মিলন, গৌতম সাহা, সরোয়ার মাহামুদ খান, নাজমুল হক শামীম, মোশারফ হোসেন সুমন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হেলালী, মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, আহমেদ হাসান জুয়েল। কেন্দ্রিয় সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন আবু তুহিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।