দেশে কম তরঙ্গে বিপুল সংখ্যক গ্রহাককে সেবা দেয়ায় তিন মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে বিটিআরসি-তে নালিশ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। তরঙ্গ ঘাটতির কারণে মোবাইলফোনে মান সম্মত সেবা না পাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। গ্রাহকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ বিষয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানাবেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের কাছে, নতুন করে তরঙ্গ না নেওয়া পর্যন্ত অপারেটরদের নতুন সিম সংযোগ দেয়া বন্ধের আবেদন জানাবেন।
আবেদনটির একটি প্রতিলিপি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালকেও দেয়া হবে।
এ বিষয়ে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি ডিজিবাংলা-কে বলেন, দেশে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের বিপরীতে প্রায় ২০ লাখ গ্রাহক সেবা দিচ্ছে গ্রামীণফোন। ১৩ লাখ ৭৪ হাজারের বিপরীতে এক মেগাহার্জ ব্যয় করে রবি। একইভাবে ১২ লাখ ৪১ হাজার গ্রাহককে সেবা দিতে এক মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যয় করে বাংলালিংক। শুধুমাত্র মান অনুযায়ী টেলিটক ১ লাখ ৪০ হাজারের বিপরীতে এক মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যয় করে। ফলে কলড্রপ, নেটওয়ার্ক দুর্বলতা ও ডাটা ব্যবহারে সমস্যায় পতিত হচ্ছে গ্রাহকরা।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশসহ অন্যান্য দেশে ১-১.৫ লক্ষ গ্রাহকের বিপরীতে ১ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়। অপারেটররা যেখানে শর্ত মেনেই লাইসেন্স নিয়েছে সেখানে তরঙ্গের দাম বেশি এ যুক্তি ন্যায়সঙ্গত নয়। গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে নতুন করে সিম বিক্রয় না করার জন্য বিটিআরসির কাছে আমরা চিঠি দিতে যাচ্ছি। আমরা চিঠি দেয়ার পর এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেব।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কম তরঙ্গ দিয়ে অধিক গ্রহাককে সেবা দিতে গিয়ে অপারেটরগুলো সেবার পরিধি বাড়ানোর জন্য যত্রতত্র বসছে বিটিএস (মোবাইল টাওয়ার)। এসব টাওয়ারের রেডিয়েশনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পশু-পাখি, গাছ-পালা। বেশি টাওয়ারের এলাকায় মানুষ প্রচণ্ড স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। সে কারণেই এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।