বুধবার বিকেল থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে ১২ দিন ধরে বন্ধ থাকা ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। স্থানীয় ফ্যাক্ট চেকার নিয়োগে তারা আরো যত্নশীল হবে বলে জানা গেছে। ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব বাংলাদেশের সংবিধান ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বাংলাদেশে সেবা দিতে সম্মত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ফ্যক্ট চেক ও এআই প্লাটফর্ম ব্যবহারে আরো গুরুত্ব দেবে। আগামী দিনে তারা আরো সতর্ক থাকবে এবং বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করবে।
বুধ্বার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে তৃতীয় তলায় সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ক্রিমিন্যাল বিহ্যাবিয়ার, ফেক ইনফরমেশন, ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে কমিউনিটি গাইডলাইন ও জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন করছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
বৈঠক শেষে এ তথ্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই তথ্য দেন। তিনি বলেন, এই বৈঠকের পরই এসব খুলে দেয়া হবে। ফলে ভিপিএন এর ব্যাবহার কমে ইন্টারনেটের গতি ফিরবে।
জানাগেছে, সশরীরে টিকটক এশিয়া পলিসি হেড ফেরদৌস মুত্তাকিন, ফেসবুক এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পলিসি হেড সারিম আজিজ, বাংলাদেশ পলিসি লিড রুজ্যান সরোয়ার, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এক্সপার্ট জাস্টিন, কমপ্ল্যায়েন্স এন্ড রেগুলেশন এক্সপার্ট সুশংক শা, ল এনফোর্সমেন্ট এক্সপার্ট কৃষ্ণ, লিগ্যাল এক্সপার্ট নয়নতারা যোগ দেন। গতরাতে ইউটিবের পক্ষ থেকে মেইলে সময় চাওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড মো মুস্তাফিজুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহামন, প্রমুখ উপিস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ জুলাই কোটা আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে রাত ৯টার দিকে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। এছাড়া টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৮ জুলাই বিকেল পৌনে ৩টা থেকে চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেট। তবে ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, টিকটক, এক্স বন্ধ রয়েছে।