মোবাইলফোন অপারেটর জিপি-রবি’র পাওনা আদায় আর উইন উইন অবস্থায় নেই দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েন। সংগঠনটির মতে অপারেটরদের বক্তব্য ভুল প্রমাণিত করতে না পারলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মর্তাদের পদ ছেড়ে দেয়া উচিত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মন্ত্রণালয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রী গ্রামীণফোন ও রবি’র কাছে পাওনা যথাক্রমে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ও ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বিটিআরসির সাথে আপোষ-মীমাংসা করে বলেছিলেন, “তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘উইন উইন সিচুয়েশনে’ থেকে বকেয়া পাওনা আদায় করা হবে। যাতে করে কারোরই হার-জিত না হয়।”
তার ভাষ্য, “মাননীয় অর্থমন্ত্রীর ‘উইন উইন সিচুয়েশন’র সময় অতিবাহিত হয়েছে কোন অগ্রগতি ছাড়াই। অথচ জিপি ও রবি গত ৭ অক্টোবর বিটিআরসির পাঠানো ৫ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স বাতিলের নোটিশের জবাবে বলেছে বিটিআরসির অডিট আপত্তি ভিত্তিহীন। ”
তিনি বলেন, “অথচ অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল জিপি ও রবির মামলা প্রত্যাহর করবে এবং বিটিআরসির তাদের নোটিশও প্রত্যাহার করবে। কিন্তু কোন পক্ষই এই নির্দেশনা মান্য করেনি। বরং উল্টো বিটিআরসির পাওনাকে ভিত্তিহীন বলে জনগণের টাকায় অডিট নিষ্পত্তির ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মহিউদ্দিন আরও বলেন, বিটিআরসি যদি প্রমাণ করতে না পারে যে অপারেটরদের বক্তব্য সঠিক নয় তাহলে বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়ভার নিয়ে সরে দাঁড়ানো উচিত। দেশের সকল গ্রাহক দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পাওনা আদায় ও মীমাংসা চায়।”