বুয়েটে ছাত্র-শিক্ষকদের সব ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। উপাচার্যের ক্ষমতাবলে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বুয়েট অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে এই ঘোষণা দেন তিনি।
বৈঠকে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইয়াজ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাসুদসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফাহাদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যদিয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। আলোচনার শুরুতে আবরার হত্যাকান্ডের পর ৩৬ ঘন্টা ক্যাম্পাসে আসতে না পারায় সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভিসি। এছাড়াও এই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত সব আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফাহাদের খুনিদের ফাঁসির দাবি বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
বৈঠকে নির্যাতনের ঘটনা জানানোর জন্য একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়ে উপাচার্য জানান, এ বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সাইটের মধ্যে কি কি থাকতে হবে তা ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা হবে। তবে এ প্রোগ্রামের জন্য এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
এসময় নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো হলের উভয় পাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলেও জানান ভিসি।
ফাহাদের খুনিদের ফাঁসিসহ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে বুয়েটের ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ ব্যাচের সঙ্গে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।