নিজস্ব উৎস থেকে বিদ্যুৎ পেতে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর শুরু হয় ‘বুয়েট রুফটপ সোলার প্রজেক্ট’ (বিআরএসপি)। প্রহল্পের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৯টি ভবনের ছাদে বসানো হয় সোলার প্যানেল। এরই মধ্যে এসব প্যানেল থেকে ২ দশমিক ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশা, সৌরবিদ্যুতের এ প্রকল্প থেকে দিনে গড়ে ৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, যা ক্যাম্পাসের দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করবে।
বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। বিআরএসপির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ২৫ বছরে বুয়েটের ১২ কোটি টাকা সাশ্রয় করা। ২৫ বছরে সম্পূর্ণ মালিকানা নিয়ে বুয়েট নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রকল্পটি পরিচালনা করলে সাশ্রয় হওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৫ কোটি টাকা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, “বুয়েট সব সময় প্রযুক্তি খাতে অগ্রগামী। তাই আমি আশা করি, কয়েক বছর পর সব ছাদে সোলার প্যানেল ব্যাবহার করা হবে। এটি খুবই লাভজনক, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব।”
বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খান সৌরবিদ্যুতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ ব্যবহারের সুবিধার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “আমাদের ছাদগুলো কখনও ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিষ্ঠান এবং আবাসনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে আমাদের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল হয়, তা বিশাল। ফলে এটি বিদ্যুতের খরচ কমাতে এবং ছাদ ব্যবহারের জন্য দুর্দান্ত উদ্যোগ হতে পারে।”
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তিন সহযোগী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, যেগুলো হল- পিএসএল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড গ্রিন এনার্জি লিমিটেড, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও প্যাসিফিক সোলার অ্যান্ড রিনিওয়াবল এনার্জি লিমিটেড।
প্রকল্পের তাৎপর্য তুলে ধরে ইডকলের ইডি ও সিইও আলমগীর মোরশেদ বলেন, “নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করতে না পারার পেছনে অন্যতম প্রধান বাধা সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য জমির অভাব। সে ক্ষেত্রে ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন কার্যকর বিকল্প। এটি সৌর প্যানেল শিল্পে একটি মাইলফলক হবে।”