ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট দুই ক্ষেত্রেই গতিতে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর ১২ মাসে মোবাইল ইন্টারনেটে ৯ ধাপ এবং ব্রডব্যান্ডে উন্নতি হয়েছে এক ধাপ।
বিশ্বের ১৮১ দেশের ইন্টারনেট গতি হিসাব করে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্টারনেট অ্যাকসেস ও পারফরম্যান্স অ্যানালাইসিস কোম্পানি ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির এপ্রিল মাসের স্পিড টেস্ট গ্লোবাল ইডেক্স থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূচকে এক মাসের ব্যবধানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতেও দুই ধাপ এগিয়ে ১০৮ থেকে ১০৬তম এবং মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ছিল ১১২তম থেকে ১১০তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
ওকলার তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৪৬ দশমিক ৫২ মেগাবিট এবং আপলোড গতি ছিল ৪৫ দশমিক ৩১ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস)। একই সময়ে মোবাইল ইন্টারনেটে প্রতি সেকেন্ডের গড় ডাউনলোড গতি ছিল ২৩ দশমিক ৮৩ মেগাবিট (এমবিপিএস) এবং আপলোড গতি ছিল প্রতি ১০ দশমিক ৮০ মেগাবিট (এমবিপিএস)। স্বাভাবিক নিয়মেই ব্রডব্যান্ডের চেয়ে ইন্টারনেট ল্যাটেন্সি মোবাইল ইন্টারনেটে বেশি ছিলো। ওই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ল্যাটেন্সি ছিলো ৫ মিলিসেকেন্ড। মোবাইলের ক্ষেত্রে এটি ২৫ মিলি সেকেন্ড।
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলালিংক। চতুর্থ প্রান্তিকে এই অপারেটরের ডাউনলোড গতি ছিলো ২৬ দশমিক ৭৪ এমবিপিএস। ধারাবাহিকভাবে রবি’র ২৪ দশমিক ৬২ এমবিপিএস, এয়ারটেলের ২৩ দশমিক ১৮ এমবিপিএস, গ্রামীণফোনের ২১ দশমিক ৭৮ এমবিপিএস এবং টেলিটকের ৬ দশমিক ০৫ এমবিপিএস।
প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট গতির উত্থান-পতনে মোবাইলের তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির র্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১১৯তম। মে মাসে ১১৮তম, জুনে ১১৯তম, জুলাইয়ে ১২০তম, আগস্টে ১১৮তম, সেপ্টেম্বরে ১১৩তম, অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বরে ১০৭তম, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ১০৮তম, ফেব্রুয়ারিতে ১০৭তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের। মার্চে এক ধাপ পিছিয়ে ১০৮তম অবস্থানে নেমে গেলেও এপ্রিলে দুই ধাপ এগিয়ে ১০৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে ১০৭তম থাকলেও জুনে উন্নতি হয়েছিলো দুই ধাপ। জুলাই মাসে বেড়ে ১০৭তম হয়। তবে আগস্টে নেমে যায় ১০৪তম। এভাবেই সেপ্টেম্বরে ১০৭তম, অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বরে ১০৭তম এবং ডিসেম্বরে ছিলো ১০৮তম অবস্থানে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের র্যাংকিং ছিলো অপরিবর্তিত। তবে ফেব্রুয়ারিতে এক ধাপ পিছিয়ে ছিলো। এরপর মার্চ থেকে এপ্রিলে এসে এগিয়েছে দুই ধাপ।