র্যাবের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে হ্যাকারের কবলে পড়ে আদালতে গিয়ে ধরা খেলেন এক যুবক। তার নাম আইয়ুব আলী খান। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে।
তিনি র্যাবের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নামের মূল বানান কিছুটা পরিবর্তন করে আইডিটির নাম দিয়েছিলেন ‘ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম’। ২০২০ সালের ৪ মে থেকে এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলেও ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট দুপুর ২টা থেকে পরদিন ২০ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে হ্যাকারের হাতে পরে আইডিটি। এরপর তিনি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে বুধবার (৮ মে) সাত লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জানিয়েছেন, আদালতের কাছে মামলার জবানবন্দি দেওয়ার সময় আইয়ুব আলী অভিযোগ করেন ‘সেলিব্রেটিং জিন রডেনবেরি: স্টার টেক’স ব্রিজ অ্যান্ড নাসা’ নামে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পেজটি হ্যাক করেছে। পেজে যে কোনো পোস্ট করলে আসামির পেজে চলে যায়, যার সদস্য সংখ্যা ২২০০ থেকে ৪৩০০। তখনই বাদী বুঝতে পারেন, তার পেজটি আসামির পরিচালিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে। এরপর আইডি উদ্ধার ও নিজের পরিচালনায় অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
কিন্তু জবানবন্দি নেয়ার সময় অন্যের (ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের) নামে আইডি খুলে ফেসবুক পেজ চালানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারক প্রশ্ন করেন, আপনি তো ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম না। তাহলে কেন আপনি তার নামে পেজ খুললেন। এ প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি বাদী। তখন আদালত বলেন, এখন তো আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অন্য ব্যক্তির নামে ফেসবুক পেজ খুলে আপনিই তো অপরাধ করেছেন। এসময় কোর্ট পুলিশকে জালিয়াতির ঘটনায় আইয়ুব আলী খানকে কাঠগড়ায় আটকে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। দুই ঘণ্টা পর ক্ষমা চাওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে ছাড়া হয়।