ঈদ, নববর্ষ, মে দিবস, তাপপ্রবাহ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ বিরতিতে রোববার সকাল থেকেই পুরো দস্তুর কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা। ফলে রাজধানীর বৃহত্তর ফার্মগেট -মিরপুর-কচুক্ষেত-ক্যান্টনমেন্ট এলাকা-কালশী, বনানী সড়কে ঘণ্টাধিক সময় নাকাল হতে হয়েছে যাত্রী-পরিবহনগুলোকে। যানজট বেধেছে পুরান ঢাকা-বেইলি রোডসহ যেসব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেসব জায়গায়ও। পুরান ঢাকা থেকে পল্টন পর্যন্ত সড়কেও ছিলো যানবাহনে চাপ। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা মহানগর কলেজ, কবি নজরুল কলেজের পাশাপাশি সেন্টগ্রেগরি, সেন্টফ্রান্সিস জেভিয়ার্স স্কুলসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থী-অভিভাকদের ভিড় দেখা গেছে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি।
সব মিলিয়ে মোটর সাইকেলগুলো কোনো ভাবে ফাঁক ফোকর দিয়ে চললেও অন্যান্য যানগুলোকে চলতে হয়েছে শম্বুক গতিতে। আটকে থাকা যাত্রীরাই যেনো এই কষ্টের ক্ষোভ ঝাড়তে বেছে নেন সোশ্যাল মিডিয়া ফিড। ফেসবুকে নানা কমেন্ট আর ছবি শেয়ার করেছেন তারা। ফেসবুকের ট্রাফিক এলার্ট গ্রুপগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি আবার কোন রাস্তা এড়িয়ে চলা দরকার সেই বিষয়টিও শেয়ার করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে ছুটি শেষের প্রথম সকালে যানজটে বিরক্ত একজন কালশী এলাকার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ভিআইপি মুভমেন্ট কেন গভীর রাত বা ভোর সকালে করে না? অফিস এন্ট্রি টাইমেই কেন এইসব?
অপর একজন যানজটের চিত্র তুলে ধরে লিখেছেন, উত্তরা-মিরপুর এলাকা এড়িয়ে চলুন। পুরো রাস্তা জ্যাম।।অসহ্য গরম। আরেকজন ঘণ্টাখানেক ধরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট তুলে লিখেছেন, ঢাকার রাস্তা এখন আমাদের জন্য অভিশাপ!
তবে অনেকেই এমন মন্তব্য দেখে গুগল ম্যাপ করে রাস্তার পরিস্থিতি জেনে সড়কে নেমেছেন।