ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেকিং প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে মতামত ও বিদ্রুপাত্মক লেখা। মতামতধর্মী লেখাগুলোকে পাঠকরাই সচারচর ভুয়া ও ভুল তথ্য বলে ফ্ল্যাগ দেখান। ফলে এখন থেকে এ ধরনের লেখাগুলোকে ভুয়া খবরের আওতায় ফেলবে না ফেসবুক।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্যাক্ট চেকারদের কাছ থেকেও যদি প্রকাশকদের মতামত ও বিদ্রুপাত্মক লেখা ভুয়া খবর হিসেবে চিহ্নত হয় তবে তারা তা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এদিকে গত সপ্তাহে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্যকে থার্ডপার্টি ফ্যাক্ট চেকিং প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে, ভুয়া খবর ও ভুল তথ্য ঠেকানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য পড়বে না।
ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেছেন, রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে রেফারি হতে চায় না ফেসবুক। কোন রাজনীতিবিদ কী বলেছেন, তা যাচাই করার দায়িত্ব ফেসবুকের নয়।
বস্তুত ফেসবুকের কনটেন্ট পর্যালোচনাকারীদের জন্যে এখন নয়টি রেটিং অপশন আছে। এর মধ্যে মতামত ও বিদ্রুপাত্মক লেখা রয়েছে।