প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বাংলালিংক ইনোভেটরসের সপ্তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অন দ্য এজ। রোবট নোভা’র দেয়া ০০০৭ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে চ্যাম্পিয়ন দলের নাম ঘোষণা করেন বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু। এসময় বাংলালিংক-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, তিন বিচারক স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সামি আহমেদ ও বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও চিফ কমার্সিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষুদ্র ও কুটির কারবারিতে এআই ব্যবহার করে ব্যবসায় পরিচালনা প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকার রাখতে একটি অ্যাপের ধারণা দেয় চ্যাম্পিয়ন উদ্ভাবকেরা। উদ্ভাবক দলের প্রধান বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। বাকি তিন উদ্ভাবক হলেন, হাসরাত হুমায়ুন, হান্নান সাঈদ এবং নাফিয়া আহমেদ।

তরুণদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে উৎসাহিত করতে সোমবার রাতে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘ইনোভেটর্স ৭.০’ বিজয়ীদের ফাইনাল রাউন্ডে নির্বাচিত ৫টি দলের মধ্যে বিচারকদের রায়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে উপস্থাপিকা এবারের আসরে প্রথম রানার্স আপ হিসেবে টিম রকেট ও দ্বিতীয় রানার্সআপ ফোর অব এ কাইন্ড এর নাম ঘোষণা করেন। তখন অংশগ্রহণ কারীদের অভিভাবক, পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধি এবং বাংলালিংক এর চিফ করপোরেট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম রানার্স আপ দলের সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র শিক্ষার্থী পুষ্পিতা খান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র নাফিস ফায়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থী মায়েশা হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ছাত্র আবির এরশাদ।

দ্বিতীয় রানার্স আপ দলে রয়েছেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্রী উম্মে ফারিহা সাদেক, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র তাসনিয়া নাফিস এবং ঢাবি’র আইবিএ-এর ছাত্র এস এম জাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রাথমিক বাছাই শেষে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম হল বুট ক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন, ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।
বাংলালিংক-এর পৃষ্ঠপোষকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই-এ অবস্থিত বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ভিওন-এর কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পাবে। সেরা তিন দলের সকল সদস্য বাংলালিংক-এর ফ্ল্যাগশিপ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই প্রোগ্রাম তাদেরকে ভবিষ্যতে দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রশিক্ষণ দেবে।
সেরা পাঁচটি দলের সকল প্রতিযোগী বাংলালিংক-এর অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা বাস্তবসম্মত উপায়ে কর্পোরেট অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে। এছাড়াও সেরা ৪০ জন প্রতিযোগীর প্রত্যেকেই বাংলালিংক-এর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলালিংক-এর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারবে।
এদিকে ‘ইনোভেটর্স’ এর চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে বাংলালিংক এর নতুন মোটো “লিড দ্যা ফিউচার” ঘোষণা করা হয়, যা বাংলালিংক-এর নতুন ইমপ্লয়ি ভ্যালু প্রপোজিশন-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি প্রতিষ্ঠানটির অনুকরণীয় লক্ষ্য এবং এর কর্মীদের ধারাবাহিক উন্নতিকে প্রতিফলিত করে।
পুরস্কারের আগে দেয়া বক্তব্যে ভিওন এর গ্রুপ সিইও কান তেরজিওগ্লু বলেন, “বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের নেতৃত্বে থাকা তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ‘ইনোভেটর্স’-এর সপ্তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারার মতো চমৎকার কিছু পরিকল্পনা ও সমাধান তুলে ধরা হয়েছে। আমি গর্বিত যে, বাংলালিংক দেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশীদার হিসেবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের অঙ্গীকারের একটি প্রতিফলন।”
বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, “এই প্রতিযোগিতাটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করার ক্ষেত্রে বাংলালিংক-এর একটি বিশেষ উদ্যোগ। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার জন্য বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও এগিয়ে আসা উচিত, যাতে তারা নিজেদের উন্নতির পাশাপাশি দেশেকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি প্রতিযোগীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা দেখে মুগ্ধ। তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এমন সব সমাধান উপস্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করবে।”