বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে “বিশ্বব্যাপী শিখুন, স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করুন” (Learn Globally, Apply Locally) প্রত্যয়ে বুধবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পালিত হলা ‘বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৩’। দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকালে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
এরপর প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন চট্টগ্রাম মাস্টারপ্ল্যান প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ আবু ঈসা আনসারী, ব্র্যাক পরিচালিত নগর উন্নয়ন প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক সমন্বয়ক আবু মুজাফ্ফর মাহমুদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স (বিআইপি) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার ও উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেবাশীষ রায় রাজা। সভায় “জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু” বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া গুলশানা রাশিদ লোপা। পাশাপাশি নগরীর নিম্ন আয়ের জনগণের বাসযোগ্যতা বাড়ানোর উপর ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মনিটরিং ও ইভাল্যুয়েশন কর্মকর্তা জনাব সোহাগ আহমেদ আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব তন্দ্রা দাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “তরুণ প্রজন্মের এগিয়ে যেতে হলে দক্ষতার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে অবিশ্বাস্য গতিতে উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি বেড়েছে। দেশে এখন দ্রুত নগরায়ন বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ মানুষ নগরে বাস করছে। অথচ আমাদের বড় শহর মাত্র দুইটা। এতো বিশাল জনগোষ্ঠীর চাপ সামলানোর সক্ষমতা আমাদের দেশে এখনও হয়নি। দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি এভাবে শহরকেন্দ্রীক হয়ে যায় তবে শহরগুলো বাসযোগ্যতা হারাবে। কৃষিকাজ কমে যাবে, উৎপাদন হ্রাস পাবে, পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য গ্রামাঞ্চলেও শহরের নাগরি সুবিধাগুলো পৌঁছে দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ছিল গ্রাম হবে শহর। সেজন্য টেকসই ও স্মার্ট পরিকল্পনা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। শুধু উন্নয়ন করলেই হবে না, সেই উন্নয়নকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট সিটি নির্মাণ করতে হলে দেশের নাগরিকদেরকেও স্মার্ট থিংকিং ধারণ করতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা ও উদ্যোগের প্রতি সহযোগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ হবে, বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।”
চুয়েট কর্মচারী ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর ২০২৩) বিকালে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কর্মচারী ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক ও স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম এবং স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্মচারী ক্লাবের সভাপতি জনাব মো. মেহেদী হাসান শাহ্।