খাজা টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের বিপর্যয়ের মুহূর্তে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের এক অপারেটর আরেকজন অপারেটরকে সাহায়তার মাধ্যমে ঢাকা শহরের ইন্টারনেট ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ঢাকার বাইরে সংযোগের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য আজকের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ চেয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা। আজকের মধ্যে বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে কাজ শুরু করলে দুদিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক।
শুক্রবার সকালে মহাখালীর আমতলীর খাজা টাওয়ারের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
আইএসপিএবি সভাপতি বলেছেন, আজ আমরা ভেতরে ঢুকে সেখানকার ইক্যুইপমেন্টগুলোর প্রায় সবই ভালো অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। বিশেষ করে ডাটা সেন্টারের ইক্যুইপমেন্টগুলো মনে হচ্ছে ভালো আছে। কিন্তু যথক্ষণ পর্যন্ত আমরা পাওয়ার না দেবো, লাইভে না যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত বলতে পারছি না আমাদের ইক্যুইপমেন্টগুলো সক্রিয় আছে কি না কিংবা কাজ করছে কি না।
ইক্যুইপমেন্টগুলো বাইরে নিয়ে বা অন্যকোনো ডাটাসেন্টারে স্থাপন করতে হলে ইন্টারনেট লাইভ করতে অনেক সময় লেগে যাবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এটা করা হলে ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে প্রায় এক সপ্তাহ লেগে যাবে। কেননা আমরা ডাটা সেন্টারেও পর্যাপ্ত স্পেস পাচ্ছি না। বিল্ডিং এখন যে অবস্থায় আছে, ডাটাসেন্টার লাইভ করা সম্ভব। কিন্তু এজন্য আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ ও সরবরাহ দরকার। এটা করা হলে আজকের মধ্যেই আমারা পূর্বের ন্যায় ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবো।
তবে মালিকপক্ষ ভবনে এত দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ ও ভাড়া নেওয়া ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ঢুকতে দিতে চান না। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সময় নিয়ে ভবনে কাজের পরিবেশ ফেরাতে চান।
এর আগে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কোলোর নাজমুল হক শুক্রবার সকালে ভবনে ঢোকার সুযোগ পান। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আগুনটা মূলত লেগেছে চারতলা থেকে। সেটা ওপরের দিকে উঠেছে এবং একেবারে ১৩তলা পর্যন্ত পুড়ে গেছে। ১১ তলায় আইআইজি এনআরবি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকিদের ইক্যুইপমেন্ট সেফটি ভালো থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি। ১০ তলায় ঢাকা কোলো। সেখানে আগুন লাগলেও কক্ষের ভেতরে বেশি পোড়েনি। পুড়েছে ফ্লোরের লবির সরঞ্জাম।’
প্রসঙ্গত, খাজা টাওয়ার ভবনের ৩য় তলায় ফার্স সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ৪র্থ তলায় গ্রামীণফোন ডেটা সেন্টার, ১০ তলায় আর্থ টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড, রেস অনলাইন, অরবিট টেলিকম। ১১ তলায় এনআরবি টেলিকম, এছাড়া ভবনের বাকি ৭টি ফ্লোরে সাইফ পাওয়ার টেক গ্রুপ।