স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন সুবিধার মাধ্যমে অনায়াসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন এবং গ্রামের ভিশন সেন্টারে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার সকালে নাটোরের সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ফ্রি চক্ষু সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেম প্রতিমন্ত্রী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেছেন, সিংড়ার মানুষের চক্ষু চিকিৎসার জন্য বাহিরে গিয়ে যে অর্থ ব্যয় হতো এখন তা হয় না। আমরা আল-বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডশনের সৌজন্য সিংড়ার মানুষের কল্যাণে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়েছি। এখন তাদের আর হাজার হাজার টাকা খরচ করে রাজশাহী, ঢাকা যেতে হয় না। সিংড়ায় বসে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদিন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের দোর-গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন। এখন দেশের প্রতিটি গ্রাম উন্নয়নের মুখরিত জনপদ। দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে স্বাস্থ্য পরামর্শ ছাড়াও ২৭ ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বিগত সময়ে দেশের প্রায় ৯ কোটি প্রান্তিক মানুষ চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন। এখন কমিউনিটি ক্লিনিকে চার প্রকার উপকরণের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা বৃদ্ধি করে চিকিৎসার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন সুবিধার মাধ্যমে অনায়াসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। ভিশন সেন্টারে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নে সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের সহযোগিতায় আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সিংড়ায় এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। তৃতীয়বারের মত এই চক্ষু সেবা ক্যাম্পে পাঁচ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে রোগীদের চোখের ছানী অপারেশন করা হবে বিনামূল্যে।
আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. আহমেদ তাহির হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান এবং সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।