চীনের চেংদুতে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ইনোভেশন ডে’ অনুষ্ঠানে ‘কুনপেং ইকোসিস্টেম বেস’ এর উন্মোচন এবং ৫জি প্রযুক্তির সর্বশেষ আগ্রগতি তুলে ধরবে হুয়াওয়ে।
কুনপেং ইন্ডাস্ট্রি ইকোসিস্টেমকে এগিয়ে নিতে আগামী পাঁচ বছরে তিন বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে এই টেলিকম জায়ান্ট। এর ফলে সহযোগী এবং ডেভেলপারগণ সহজেই অপারেটিং সিস্টেম, কম্পাইলার, অ্যাপ্লিকেশন পোর্টিং এবং অপটিমাইজেশন সংক্রান্ত তথ্য পাবে, যা তাদের নতুন কম্পিউটার যুগে এগিয়ে থাকতে সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কর্পোরেট কমিউনিকেশনের সভাপতি ভিনসেন্ট পাং বলেন, “বিশ্বের জন্য হুয়াওয়ে ৩০ বছর ধরে কাজ করছে। আমরা প্রযুক্তি মাধ্যমে মানব জাতিকে সব কিছুর সাথে এমনভাবে যুক্ত করতে চাই যেন তা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর হয়। এছাড়াও আমাদের কাজের লক্ষ্যে হলো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ, বিপন্ন প্রজাতি এবং ঐতিহ্য রক্ষা করা।”
পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির ফলে গিগাবিট গতির পাশাপাশি আরও শক্তিশালী সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হবে।
টেলিকম লবি গ্রুপ জিএসএমএ এর তথ্যমতে, এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্বের বৃহত্তম ৫ জি অঞ্চলে পরিণত হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মোবাইল সংযোগের ১৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৫জি সংযোগ স্থাপনের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে সম্ভাবনা অনুমান করা হয়েছে সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলি। কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডসহ আসিয়ান এর সকল সদস্যরা পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হুয়াওয়ের সাথে সহযোগিতা করার ব্যপারে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সবার আগে থাইল্যান্ডে ইস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর (ইসি) -এ ৫ জি টেস্টবেড তৈরি করেছে হুয়াওয়ে। মালয়েশিয়ায় ৫ জি প্রযুক্তিতে সহযোগিতা করার জন্য টেলিযোগাযোগ সংস্থা ম্যাক্সিস এবং ইডটকোর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এছাড়াও ভিয়েতনামে স্থানীয় ভাবে ৫ জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
গত জুনে মাসে ফিলিপাইনের গ্লোব টেলিকম হুয়াওয়ের সরঞ্জামের দ্বারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ৫ জি ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করেছে।
এ পর্যন্ত হুয়াওয়ে ৫জি প্রযুক্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে ৫০ টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং সারা বিশ্বের বাজারে ১৫০,০০০ এরও বেশি বেস স্টেশন স্থানান্তর করেছে।