লাদেশে কুমনের ১০ম সেন্টার হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে জাপানিজ শিক্ষা পদ্ধতি ‘কুমন’ -এর মোহাম্মদপুর সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন শিক্ষাবিদ এবং উদ্যোক্তা আরিফা জেসমিন কনিকা।
এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্র্যাকের ডিরেক্টর, বি কে এল এবং চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার তুষার ভৌমিক, জাপানের ব্র্যাক কুমন ইন্সিটিটিউট অব এডুকেশন কোম্পানি লিমিটেডের এভিপি ইউসুকে সুগাওয়া, ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের হেড নেহাল বিন হাসান, বনশ্রী সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মাসুমা তালুকদার তিন্নি, মোহাম্মদপুর সেন্টারের ইন্সপেক্টর ফারহানা জাহানসহ ব্র্যাক কুমন লিমিটেড এবং ব্র্যাক এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আরিফা জেসমিন কনিকা উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন,বাচ্চাদের গণিত ও ইংরেজি কারিকুলামে দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ স্কিল ক্রিটিকাল থিংকিং, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও প্রবলেম সল্ভিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ স্কিল নিয়ে কাজ করে জাপানিজ সেল্ফ লার্নিং মেথড কুমন। কুমন বাচ্চাদের স্বনির্ভর হতে শেখায় উল্লেখ করে তিনি বলেন এর ফলে তাদের মধ্যে জীবনমূখী দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
কনিকা আরো বলেন, বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর চালিকাশক্তি ছিল বিজ্ঞান। একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তিও এখন চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। যৌক্তিক ও গাণিতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে তিন বছর বয়সে বাচ্চারা শিখবে কোন শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে।

তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা যেন একবিংশ শতাব্দীর যেন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে ব্ল্যাক কমানো সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইতোমধ্যে নাটোর জেলার সিংড়া দমদমা পাইলট হাই স্কুলের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে কুমন শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন আরো ৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। এছাড়া এ বিভাগের ইডিসি প্রকল্পের আওতায় ৩০০টি ল্যাবে জাপানী এই শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্রাক কুমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদপুর সেন্টার সহ বর্তমানে ঢাকায় ব্র্যাক কুমনের ১০ টি সেন্টার এর কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো বাংলাদেশে সর্বমোট ৫০ টি সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক কুমন কর্মকর্তারা।