তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, একটা সেতু যেমন নদীর দুই পারের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে আইসিটি বিভাগের কাজটাও তেমনি সংযোগ স্থাপন করা। চাকুরী যারা দিতে চায় আর চাকরি যারা নিতে চায় অর্থাৎ চাকুরিদাতা ও চাকুরি গ্রহীতা এই দুই পক্ষের মধ্যে যে দূরত্বটা আছে সেটাকে দূর করে সেতু বন্ধন রচনা করাই আমাদের কাজ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন, “ঢাকা মানেই বাংলাদেশ নয়। ঢাকার বাইরে যে হাজার হাজার গ্রাম আছে, সেই গ্রামের উন্নয়ন হলেই, বাংলাদেশটা সোনার বাংলা হবে”- যোগ করেন তিনি।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ভোলার লালমোহন উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা উদ্ধোধন ও স্মার্ট নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, দেশের মানুষকে সেবা নিতে এখন সরকারি দফতরে যেতে হয় না, সরকারি দফতর সবার বাড়িতে পৌঁছে গেছে। দেশের ১৩ কোটি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতায় এসেছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতি আস্থা রেখে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী অতীতের সব সংকটের মতো এই সংকটও কাটিয়ে উঠবেন বলে মন্তব্য করে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সুশাসনের ওপর আস্তা রেখে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং লালমোহন ও তজুমদ্দিনকে স্মার্ট উপজেলা বিনির্মাণের সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানান পলক।
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতা-যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে এ দেশের কেউ বেকার থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হলে এদেশের প্রতিটি মানুষ দ্রুত সকল সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতায় এসেছেন ততবারই দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়নের দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগীতায় আয়োজিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাসম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক (উপ-সচিব) মো. হুমায়ুন কবির।
অনুষ্ঠান শেষে ভোলা-৩ আসনের ২০ জন ও ভোলা-৪ আসনে ১০ স্মার্ট নারী উদ্যোক্তার মাঝে ৫০ হাজার টাকার করে চেক বিতরণ করা হয়।